প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : হজরত আদম (আ.)-এর আমলে ইবাদতগত শরিয়ত নাজিল হয়নি। তখন মানব সভ্যতা ও জীবন সংগ্রাম সংক্রান্ত ওহি নাজিল হতো বেশি। পাশাপাশি লেনদেন, সামাজিকতা ও নৈতিক বিধান ক্রমান্বয়ে নাজিল হতে থাকত। তবে, আল্লাহর সাথে নিসবত, তায়াল্লুক, তাওহিদ, রিসালত, আখেরাত এবং জিকর ও ফিকর পুরোমাত্রায় ছিল। বিধিবদ্ধ আকারে আমলী শরিয়ত ছিল না বলে অসংখ্য কিতাবাদীতে পাওয়া যায়। সর্বপ্রথম আমলগত শরিয়ত, বিচার ও সমাজব্যবস্থা হজরত নূহ (আ.)-এর যুগে বিধিবদ্ধ হয়। তবে, সমর্থিত ইসরাইলি বর্ণনা ও কিছু তাফসিরকারকের মতে, দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণে দুই ওয়াক্ত নামাজ, দুই রাকাত করে পাঠ্য ছিল। তবে, তার ধরণ কি ছিল সেটি আমাদের জানার উপায় নেই। কেননা, তখন সূরা ফাতিহা ছিল না। আর পবিত্র কুরআনও নাজিল হয়নি, হজরত আদম (আ.)-এর নিকট কোনো আসমানী কিতাব এসেছে বলেও বর্ণনায় পাওয়া যায় না। তবে, তাসবিহ, তাহলিল, তাকবির, হামদ ও সানা বিশিষ্ট ইবাদত থেকে থাকবে।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।