ডিপিএইচই’র পানি ও স্যানিটেশন প্রকল্প সুবিধা পাবে ৩০ পৌরসভার প্রায় ৫০ লাখ বাসিন্দা
দেশের ৩০টি পৌরসভার প্রায় ৬ লাখ সুপেয় পানির সংযোগ দেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। পাশাপাশি
প্রচার-প্রচারণার শেষ পর্যায়ে এসে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথম থেকেই নোয়াখালীর ৬টি আসনে ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীরা এক প্রকার কোনঠাসা। এ সময় বিভিন্ন স্থানে হামলা, মামলা ও পুলিশের হাতে আটক হয়েছে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী। হামলায় নির্বাচনী অফিস ছাড়াও শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর হয়। বিভিন্ন স্থানে শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতা গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আশার বিষয় হচ্ছে, সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নৌকা মার্কার প্রার্থীরা বীরদর্পে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। জেলার নির্বাচনী আসনগুলোতে নৌকা মাকার সমর্থনে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। নির্বাচনী অফিস ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নৌকা মার্কার সুসংগঠিত কর্মিবাহিনী কাজ করছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠিত হয়েছে। নোয়াখালী-১, ২, ৩ ও ৪ আসনে নৌকা মার্কার সমর্থনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জনসভায় বক্তব্য রাখেন। এছাড়া তিনি তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে গণসংযোগ করছেন। নির্বাচনী সভা ও পথসভাগুলোতে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন। আগামীতে পুনরায় সরকার গঠিত হলে স্ব স্ব এলাকার উন্নয়নে কী কী কাজ করা হবে, তারও বিশদ বর্ণনা দিচ্ছেন। সেনা বিজিবি মোতায়েনের পরও বিভিন্ন আসনে বিএনপি প্রার্থীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতার অভিযোগ করে আসছে বিএনপি প্রার্থীরা।
অপরদিকে, ধানের শীষ প্রতীক প্রার্থীদের অভিযোগের অন্ত নেই। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণায় হামলার শিকার হয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন তারা। গত শুক্রবার নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ধানের শীষ মার্কার ৬ জন প্রার্থী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকদের বেপরোয়া আচরণ, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব ও পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করেন। তবে আশার কথা, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী জেলা উপজেলায় অবস্থানের পর পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টেছে। ৬টি আসনে ধানের শীষ প্রার্থীরা শেষ পর্যায়ে এসে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে। ধানের শীষ প্রার্থীরা অভিযোগ করেন যে, রাতের বেলায় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। এতে করে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী গ্রেফতার এড়াতে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তারা আরো অভিযোগ করেন, বিনা অভিযোগে এবং বিনা ওয়ারেন্টে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ধানের শীষ কর্মী-সমর্থকদের আটক করে মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে।
সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী-৫ আসনে ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার যেসব ওয়াদা দিয়েছিলেন তার একটাও বাস্তবায়ন করেননি। স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগ করলেও কোন লাভ হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।