পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সীল মেরে বাক্স ভর্তি করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেছেন, এই প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠাচ্ছে। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর চট্টেশ্বরী রোডের নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন ভোট গ্রহণ শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে বহিরাগতদের নিয়ে সবকটি কেন্দ্র্র দখল করে নেয় সরকারী দলের ক্যাডার মাস্তানরা। তারা নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। ধানের শীষের প্রার্র্থী ও এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। বহিরাগতরা সবকটি ভোট কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিয়েছে। পুলিশ অসহায় হয়ে পড়েছে। শত শত ভোটার ভোট দিতে এসে ভোট দিতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছে। তিনি বলেন, হাটহাজারীতে ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১ জন বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপির। এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ১৪টিতে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হতো। এটা জেনেই তারা ভোট ডাকাতি করেছে।
প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহরা দিয়ে ভোট ডাকাতির এই ঘটনাকে নজির বিহিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধংস করে দিচ্ছে। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ধংস করে সরকারই দেশে জঙ্গিবাদের ক্ষেত্র তৈরী করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ধংস হলে তা কারো জন্য কল্যাণকর হবে না। আওয়ামী লীগ মুখে জঙ্গিবাদের কথা বললেও জঙ্গিদের বিচার করছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপির সময়েই জঙ্গিদের বিচার হয়েছে, তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এই সরকার গত সাত বছরে কোন জঙ্গির বিচার করেনি। তারা জঙ্গিবাদকে বরং উৎসাহিত করছে। মীর নাছির বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক দল হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। কারণ বিএনপি মনে করে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। কিবÍ আবারও প্রমাণ হয়েছে এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না। তারা ১৯৭৩ সালের মতো ভোট ডাকাতি করছে। নির্বাচনের নামে এমন প্রহসন জাতি আগে কখনো দেখেনি বলেও মবÍব্য করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন, অ্যাডভোটেক আবদুস সাত্তার, অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, ইফেতেখার হোসেন চৌধুরী মহসীন, কাজী বেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।