পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনের প্রচারণাকালে ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের গণসংযোগে হামলা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে প্রায় কাছাকাছি সময়ে এই দুই প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পৌনে ১২টার দিকে দক্ষিণ গোড়ানের বাগানবাড়ি রোডে প্রচারণাকালে আফরোজা আব্বাসের ওপর হামলা হয়। এ সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগে নামেন আফরোজা আব্বাস। বেলা সোয়া ১১টার দিকে খিলগাঁও রেলগেট অতিক্রম করে আফরোজা আব্বাস তিলপাপাড়ায় গণসংযোগ করেন। এ সময় এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন যুবক সেখানে গিয়ে নৌকার পক্ষে ¯েøাগান দিতে শুরু করেন। আফরোজা আব্বাস বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় পৌঁছালে সেখানে তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আফরোজার গণসংযোগে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর পেছন থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের দুজন নেতা ও বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। বিএনপির নেতারা এই ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর প্রচারণায় নামলে আফরোজা আব্বাসের উপর দুই দফা হামলা হয়। সেদিনও বেশ কয়জন নেতাকর্মী আহত হন।
এদিকে ঢাকা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সালাহ্উদ্দিন আহমেদের গণসংযোগেও গতকাল একই সময়ে হামলা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর জুরাইনের নতুন রাস্তা এলাকার ঘুন্টিঘড় নামের স্থানে এই হামলা হয়। এতে সালাহ্উদ্দিন আহমেদের কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রার্থী নিজে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ওই এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করছিলেন সালাহ্উদ্দিন আহমেদ। এ সময় হঠাৎ করেই লুঙ্গি পরা কিছু যুবক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় সালাহ্উদ্দিন আহমেদের বহরের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে দ্রæত পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সালাহ্উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ ও ৫১ নং ওয়ার্ড কমিশনার কাজী হাবিবুর রহমান হাবুর লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। এতে বিএনপির অন্তত ১০ কর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন মো. সাগর দেওয়ান ফারহান, হাজী আনোয়ার সরদার, মিজান ভান্ডারি, মামুন, বিল্লাল হোসেন, মো রিপন মিয়া, মুন্না, মো. কামরুল হাসান, মো রাসেল। এর আগে দয়াগঞ্জ পাড় এলাকা থেকে সকালে দিনের প্রচারণা শুরু করেন আলহাজ্ব সালাহ্উদ্দিন আহমেদ। এরপর ধোলাইপাড় নতুন সড়ক পালপাড়, কাজীপাড়া, মীর হাজারীবাগ মাদরাসা রোড এলাকায় গনসংযোগ শেষে ঘুন্টিঘর এলাকায় যান তিনি। এ সময় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।