পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের সাংবাদিকের ওপর ক্ষুব্ধ হওয়ার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খামোশ বললেই মানুষের মুখ খামোশ হবে না। লজ্জা কম বলেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারা খামোশ বলতে পারে।’
গতকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত, আজকে আমরা দেখি তাদের পরিবারের সদস্যদের বিএনপিসহ যে ঐক্য করা হয়েছে তাতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, যারা এত বড় অপরাধ করল আর যে পাকিস্তানী বাহিনীকে আমরা পরাজিত করলাম তাদের এই দোসরদের যখন ধানের শীষে মনোনয়ন দেওয়া হলো আর এই ধানের শীষ নিয়ে যারা আমাদের সঙ্গে ছিল তারা একই সঙ্গে কিভাবে নির্বাচন করবে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর তারা জাতির কাছে দিতে পারবে কি না? তবে হ্যাঁ, তাদের লজ্জা একটু কম লাগে বলেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে খামোস বলতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীর স্বজনসহ বাংলা ভাই ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও ঐক্য ফ্রন্ট। আজকে ড. কামাল, সুলতান মনসুর, কাদের সিদ্দিকী, মান্না এত আবেগ দিয়ে জ্ঞানগর্ভ লেখা এত বিবেক! কোথায় গেল সেই বিবেক? ওই ধানের শীষে তার আজকে নির্বাচন করছে। রাজনীতিকে কোথায় নামিয়েছে? তারা যদি ক্ষমতা যায় তাহলে দেশের ভাগ্যে কী ঘটবে সেটাই আমার প্রশ্ন।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু করেছিল। আইয়ুব খানের আমল থেকেই দেখা মিলিটারি ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য একটি দল গঠন করে এবং প্রহসনের নির্বাচন করে। বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানও তাই করেছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন তাতে যুদ্ধাপরাধীদের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার ছিল না। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। অন্যান্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। শহীদ বুদ্ধিজীবি পরিবারের সন্তানদের মধ্যে ডা. নুজহাত চৌধুরী ও শমী কায়সার বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।