পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
তুলনামূলক সস্তা শ্রমের কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বিশ্বে নজর কেড়েছে। বর্তমানে দেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। জাতীয় অর্থনীতির বিকাশ অনেকাংশে এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। তৈরি পোশাক খাতের ক্রমবিকাশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সুতা ও সুতা তৈরির কাঁচামাল তুলার চাহিদা। গত এক দশকেই দেশে তুলার চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সেই তুলনায় বাড়েনি পণ্যটির উৎপাদন। এ কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি করা তুলা দিয়ে পূরণ করতে হচ্ছে। চাহিদার পাশাপাশি গত এক দশকে দেশে তুলা আমদানিও দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, তুলার ভোক্তা দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। ২০০৯ সালে দেশে তুলার চাহিদা ছিল ৪০ লাখ ১০ হাজার বেল (প্রতি বেলে ৪৮০ পাউন্ড)। এরপর ২০১১ সাল বাদে প্রতি বছরই দেশে তুলার চাহিদা বেড়েছে।
২০১২ সালে দেশে তুলার চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ৪৭ লাখ ১০ হাজার বেলে পৌঁছে যায়। পরের বছর বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩ লাখ ১০ হাজার বেলে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দেশে তুলার অভ্যন্তরীণ চাহিদা ছিল যথাক্রমে ৫৮ লাখ ১০ হাজার ও ৬৩ লাখ ১০ হাজার বেল। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে তুলার অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮ লাখ ১০ হাজার বেলে। আর সর্বশেষ ২০১৭ সালে পণ্যটির চাহিদার পরিমাণ ছিল ৭৫ লাখ ১০ হাজার বেল, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। চলতি বছর শেষে দেশে তুলার চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে ৮০ লাখ ১০ হাজার বেলে পৌঁছতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। সেই হিসাবে, বিগত এক দশকে দেশে তুলার চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
চাহিদা বাড়লেও দেশে তুলা উৎপাদন সেই তুলনায় বাড়েনি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে সাকল্যে ৫০ হাজার টন তুলা উৎপাদন হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইউএসডিএ। ১০ বছর পেরিয়ে ২০১৮ সাল শেষে পণ্যটির উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৩৫ হাজার বেলে। অর্থাৎ, এক দশকে দেশে তুলা উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ৮৫ হাজার বেল। এ কারণে তুলার চাহিদা পূরণে ক্রমশ আমদানিনির্ভর হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ তুলা আমদানিকারক দেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।