ডিপিএইচই’র পানি ও স্যানিটেশন প্রকল্প সুবিধা পাবে ৩০ পৌরসভার প্রায় ৫০ লাখ বাসিন্দা
দেশের ৩০টি পৌরসভার প্রায় ৬ লাখ সুপেয় পানির সংযোগ দেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। পাশাপাশি
চিনতে পারছেন? আমি ভোটার বলছি। কেমন আছেন প্রার্থী সাহেব? জানি এখন তো বলবেনই, খুব ভালো আছি। ভোটে দাঁড়িয়েছেন বলেই কথা! আমাদের দুয়ারে ঘন ঘন ছুটে আসছেন। আপনি হাসিমুখে লম্বা সালাম দিচ্ছেন। ভাই-বন্ধু, মা-বোন, চাচা-চাচী, ভাইপো-ভাতিজি, মামু-খালু, দাদা-দাদী, নানা-নানী আরও কত কী পরম আত্মীয়তার পরিচয়ে ডাকছেন। যেন আপনার বহুদিনের আপনজন! এতে আমরা দারুন খুশী!
সামনে ৩০ ডিসেম্বর এমপি হওয়ার ইলেকশন। দিনটা বুঝি খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসছে। আনন্দ যেন আর ধরে না! কিন্তু আরও কিছুদিন বেশি সময় হাতে পেলে আমাদের আনন্দটা তো আরও দীর্ঘ হতে পারতো। আনন্দের কারণ হলো আমরা ভোটের দিনটিতে সেই ‘একদিনের রাজা’। আপনি ‘প্রজা’। কেননা আমি ভোটকেন্দ্রের গোপন বুথে বসে ব্যালট পেপারে সিল মেরে কিংবা ইভিএম মেশিনে বুতাম টিপে ভোটটা দিলেই আপনি হয়ে যাচ্ছেন ‘রাজা’। আমি ‘রাজা’র ক্ষমতা আপনার হাতে তুলে দিচ্ছি।
আর যদি ভোটটি আপনাকে দিয়ে অন্য কাউকে না দেই তাহলে আপনি ক্ষমতা পাচ্ছেন না। প্রার্থী হলেও আপনি আমার চেয়ে বেশি ক্ষমতা রাখেন না। কারণ আমার যেমন একটি ভোট, আপনারও ভোট দেওয়ার ক্ষমতা সেই একটি মাত্র।
বাংলাদেশ সংবিধান আমাকে আমি ভোটার বলছি দেশের মালিক, ক্ষমতার মালিক, (জনগণ) ক্ষমতার উৎস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আমি আপনাকে ক্ষমতা দিতে পারি। আপনাকে উপযুক্ত ও পছন্দ মনে না হলে অন্য যোগ্য প্রার্থীকে ক্ষমতা অর্পণ করতে পারি। তাই তো বলা হয়ে থাকে- ‘আমার ভোট আমি দেব, বুঝে শুনে দেখে দেব’ (আগে বলা হতো ‘যাকে খুশী তাকে দেব’)।
আমার এই ক্ষমতা বা ‘পাওয়ার’ আছে এটা আপনি জানেন। আর জানেন বলেই আমার দুয়ারে এসে ঘন ঘন ধরনা দিচ্ছেন। একটি ভোট ভিক্ষা করছেন। অর্থাৎ আমি দাতা, আপনি গ্রহীতা। আমি ভোট দিলে আপনি জিতেন। না দিলে হারেন। আমিসহ ভোটার অনেক। শত, হাজার, লাখ, কোটি কোটি। আপনি একজন। আমরা বহুজন। আমার মতো ভোটারের একেকটা ভোটের শক্তি অনেক। কারণ একটি মাত্র ভোটেও আপনার হার-জিত হতে পারে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।