ডিপিএইচই’র পানি ও স্যানিটেশন প্রকল্প সুবিধা পাবে ৩০ পৌরসভার প্রায় ৫০ লাখ বাসিন্দা
দেশের ৩০টি পৌরসভার প্রায় ৬ লাখ সুপেয় পানির সংযোগ দেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। পাশাপাশি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম) আসনে মহাজোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৯ প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সাধারণ ভোটার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, ভোটের মাঠে লড়াই হবে মূলত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আবদুল্লাহ মহাজোট প্রার্থী ও জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের গলার কাটা হতে পারে। আপেল প্রতীকে শেখ আবদুল্লাহ পাল্টে দিতে পারেন নৌকার বিপরীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল। ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন স্টলে চায়ের আড্ডায় হাট বাজারসহ নানা এলাকায় ঘুরে স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
তবে জাসদ নেত্রী শিরীন আখতার আওয়ামী লীগের উপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চান। গত সোমবার সন্ধ্যায় ছাগলনাইয়া পৌরসভার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে শিরীন আখতার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বলেছেন, শেখ আবদুল্লাহ যদি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হয়ে থাকে তাহলে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে আমাকে (মহাজোট প্রার্থীকে) সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। আমি এটি বিশ্বাস করি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী আমাকে এবং সাংবাদিকদের বলেছেন, শেখ আবদুল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের কেউ নন। স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আবদুল্লাহ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমি আওয়ামী লীগের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। সকল দলীয় কর্মসূচি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পালন করেছি। যার কারণে নেতা কর্মীসহ ফেনী-১ আসনের সর্বস্তরের জনগণের গণজোয়ার আমার আপেল প্রতীকের পক্ষে সৃষ্টি হয়েছে।
ফেনী-১ আসনটি উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়েছিল। উন্নয়নের স্বার্থে জনগণ আমার পার্শ্বে এসে দাড়িয়েছে। ফেনী-১ আসনটি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো মহাজোট জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারকে ছেড়ে দেয়। এ আসনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল হলে তার স্থলাভিষিক্ত হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি মুন্সি রফিকুল আলম মজনু। শিরীন আখতার সাথে ভোটের মাঠে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন তিনি। এছাড়াও খেলাফত আন্দোলন আনোয়ার উল্যাহ ভূঞা (বটগাছ), বিএনএফ শাহরিয়ার ইকবাল (টেলিভিশন), ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী কাজী গোলাম কিবরিয়া (হাতপাখা), ইসলামী ফ্রন্ট কাজী মাওলানা নুরুল আলম (মোমবাতি) ও এনডিএম’র তারেকুল ইসলাম (হারিকেন) প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এদিকে প্রতীক পেয়ে বিএনপির প্রার্থী রফিকুল আলম মজনু নেতাকর্মীদের নিয়ে গত সোমবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ী ফুলগাজীর শ্রীপুরে যান। এসময় তিনি বেগম খালেদা জিয়ার চাচা মজু দরবেশ ও চাচাতো ভাই পীরজাদা খোকা মিয়ার মাজারসহ তার পূর্ব পুরুষদের কবর জিয়ারত শেষে সেখান থেকেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরু করেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় কেউ বাধা দিলে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।