ডিপিএইচই’র পানি ও স্যানিটেশন প্রকল্প সুবিধা পাবে ৩০ পৌরসভার প্রায় ৫০ লাখ বাসিন্দা
দেশের ৩০টি পৌরসভার প্রায় ৬ লাখ সুপেয় পানির সংযোগ দেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। পাশাপাশি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ আসনে জমিয়তে ইলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী করার দাবি উঠেছে। জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুস ছাত্তারের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দাবি ২৩ দলীয় জোট থেকে তাকে প্রার্থী করা হলে দীর্ঘদিন ধরে হারানো আসনটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
নীলফামারী-১ আসনে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে ৪জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর বৈধ প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার (আওয়ামী লীগ), ড. হামিদা বানু শোভা (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র), সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী (জাপা), রফিকুল ইসলাম চৌধুরী (বিএনপি), ন্যান্সী রহমান কবীর (বিএনপি), মওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ), সিরাজুল ইসলাম (বিএনএফ), জেবেল রহমান গাণি (ন্যাপ), ইউনূছ আলী (বাসদ) ও সাইফুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা গোলাম আরশাদ, মাওলানা খতীবুর রহমান, ফজলুল করীম, মুফতী মাহমুদুর রহমান, হাজী আমীনুর রহমান, জাহিদুল ইসলামসহ দলটির অনেক নেতাকর্মী জানান, এই আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের শরিকরা দখলে রেখেছে। আসনটি উদ্ধার করতে হলে দরকার জনপ্রিয়, ধর্মপরায়ন, পরিচিত ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন প্রার্থী। এই দিক থেকে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর সব গুণ রয়েছে। মাওলানা আফেন্দেী একজন সুবক্তা। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিল ও ধর্মীয় সভা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। এছাড়া বংশগত ঐতিহ্যের কারণে এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
এদিকে নির্বাচনী এলাকা ডোমার উপজেলার সোনারায়, হরিনচড়া ও ডোমার সদর ইউনিয়নের একমাত্র হেবিওয়েট প্রার্থী হচ্ছেন মঞ্জুরুল ইসলাম। তারা জানান ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন চার দলীয় জোট থেকে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলামের মনোনয়ন চুড়ান্ত করা হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে তার পরিবর্তে বিএনপির প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ায় আসনটি সে আবারও আওয়ামী লীগের দখলে যায়। প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হলে এবারও সেই আশঙ্কা করছেন জমিয়তের নেতাকর্মীরা।
মঞ্জুরুল ইসলামের সমর্থকরা জানান এই আসনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের শরিকদের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। তাদের এই ভোট ব্যাংক ভাঙতে হলে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দির মতো একজন হেভিওয়েট প্রার্থী দরকার। তা না হলে আসনটি এবারও তাদের দখলে যাবে।
মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী জানান, দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণে সহযোগিতা করাসহ এলাকার গরীব-দুখীদের পাশে ছিলেন। অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় তার জনপ্রিয়তাও বেশি। তাকে ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী করা হলে তিনি এবার বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।