ডিপিএইচই’র পানি ও স্যানিটেশন প্রকল্প সুবিধা পাবে ৩০ পৌরসভার প্রায় ৫০ লাখ বাসিন্দা
দেশের ৩০টি পৌরসভার প্রায় ৬ লাখ সুপেয় পানির সংযোগ দেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। পাশাপাশি
সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) আসনের বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। মহাজোটের এই প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ও জেলা সভাপতি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নিজের স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় তার নামে ১ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৭০ টাকার অস্থাবর এবং ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন। সম্পদ বেড়েছে ১০০ গুণ।
এলএলবি পাস মুস্তফা লুৎফুল্লাহ হলফনামায় সংসদ সদস্য পারিতোষিক ও ভাতাদি/অন্যান্য থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪৬ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার নামে নগদ ৪৭ লাখ ১২ হাজার ৮৮৮ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪০২ টাকা, ৪৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮০ টাকা মূল্যের প্যারেডো জিপ ও একটি ১ লাখ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল, ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ, টিভি, ফ্রিজ ও এসি, ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকার পিস্তল ও পয়েন্ট ২২ রাইফেল রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নামে ১২ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ও ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের বাড়ি রয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নামে ১ কোটি ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪৯ টাকার অস্থাবর এবং ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। আইএফআইসি ব্যাংক গুলশান শাখায় তার নামে ঋণ রয়েছে ১ কোটি ৫৩ লাখ ১৯ হাজার ৫১৮ টাকা। ৫ বছর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নামে ২ কোটি ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৯ টাকার অস্থাবর ও ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ছিলো। আর ঋণ ছিলো ২ কোটি ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৩২৭ টাকা। এই হিসাবে বিগত ৫ বছরে রবির অস্থাবর সম্পদ কমেছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫০ টাকার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।
সাতক্ষীরা-২ আসনে এবারো দলের প্রার্থী রবি স্বশিক্ষিত ও ব্যবসায়ী বলে তার হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, রবির বাৎসরিক আয় ৩০ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৫ টাকা। তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, নগদ ১১ লাখ ৫০ হাজার, ব্যাংকে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৭ টাকা, ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার ঋণপত্র, ৫২ লাখ ৭৯ হাজার ৮২২ টাকা মূল্যের একটি ল্যান্ড ক্রুজার ও ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার টয়োটা এলিয়ান গাড়ি, ৬০ ভরি স্বর্ণ, ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র। এ ছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার ২ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি, ১ লাখ টাকা মূল্যের বাড়ি, ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের দুটি বাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা: আ ফ ম রুহুল হকের নামে ৭ কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ৯৭৭ টাকার অস্থাবর এবং ৫ একর জমিসহ ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৬২ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। ৫ বছর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার ৭ কোটি ৭৯ লাখ ৮২ হাজার ৩৮৫ টাকার অস্থাবর এবং ১ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৬২ টাকার স্থাবর সম্পদ ছিলো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় রুহুল হক এসব তথ্য দিয়েছেন। পেশায় চিকিৎসক ডা. আ ফ ম রুহুল হক তার বাৎসরিক আয় ১ কোটি ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩১ টাকা উল্লেখ করেছেন।
হলফনামা থেকে জানা যায়, তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৪ হাজার ৪০৬ টাকা, ১ কোটি ৫১ লাখ ৫২ হাজার ১৮৫ টাকার বন্ড ও ঋণপত্র, ৩ কোটি ৯২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৬ টাকার পোস্টাল সেভিংস, ৯৯ লাখ ৫৫ টাকার মোটরগাড়ি, ৮০ হাজার টাকার স্বর্ণ, ৬০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। এ ছাড়া তার ব্যাংকে ৯৬ লাখ ২৪ হাজার ৪৭২ টাকা ঋণ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তার স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকার ও স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৩২ লাখ ১০ হাজার ৮১০ টাকার। পাঁচ বছর আগে স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পত্তি ছিলো ৮ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৯৯৯ টাকার।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এসএম জগলুল হায়দারের নামে দুটি মোটরগাড়িসহ (একটি করমুক্ত) ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৬০০ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। ৫ বছর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার একটি মোটরসাইকেলসহ ১৬ লাখ ৫০ হাজার অস্থাবর ও ২১ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ ছিলো। এই হিসাবে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। আর স্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ৮ গুণ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামায় এস, এম জগলুল হায়দার এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।
বি,এ পাস এস, এম জগলুল হায়দার পেশায় ঘের ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। তার বাৎসরিক আয় ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৫ টাকা, যা ৫ বছর আগে ছিলো ৫ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ৩৭ লাখ টাকা, ২টি মোটরগাড়ি (একটি করমুক্ত), দেড় লাখ টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র, ৪ লাখ টাকার পিস্তল ও শর্টগান রয়েছে তার। স্ত্রীর নামে ১০ ভরি স্বর্ণসহ নগদ ২০ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের এই এমপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।