পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দলীয় পরিচয়ে নয়, আসন্ন নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে সমান গুরুত্ব দেয়ার জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)- কে এম নুরুল হুদা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিইসি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, প্রর্থীকে প্রার্থী হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। একজন প্রার্থী যখন নির্বাচনের মাঠে নামবেন তখন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের তাকে কেবল একজন প্রার্থী হিসেবে দেখতে হবে। কারণ দলের বাইরেও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। প্রার্থীরা যখন থেকে নির্বাচনের মাঠে যাবেন তখন থেকে তার পরিচয় প্রার্থী। তখন আর দল বা একক ব্যক্তির কোনো পরিচয় নেই। তিনি শুধু একটি মার্কা বা প্রতীকের প্রার্থী। ফলে তিনি যেই হোন না কেন, যে দলেরই হোন না কেন তাকে অন্য সবার সঙ্গে সমানভাবে দেখতে হবে।
নুরুল হুদা বলেন, ইতোমধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। একটি প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক, প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আশা করেছিলাম, সে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমাদানের মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হয়েছে। সকল প্রার্থী সুশৃঙ্খলভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ৫-৭ জনের বেশি লোকজন নিয়ে আসেননি। তবে বাইরে অনেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এসেছিলেন। তা আসলে শোডাউনের পর্যায়ে পড়ে না।
সিইসি বলেন, আমরা সার্বিকভাবে বিশ্বাস করতে চাই, যারা রাজনীতি করেন, যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা নির্বাচনী আইন, আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাবেন। সে ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সারাদেশে ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৫৬ জনের মনোনয়ন ফরম দাখিল হয়েছে। যা রেকর্ডসংখ্যক। এ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে যে স্বতঃস্ফূর্ত জাগরণ এবং নির্বাচনে অংশ নেয়ার যে প্রত্যয়, তারই প্রতিফলন ৩ হাজার ৫৬ জনের মনোনয়ন দাখিল। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন আপনারা। সেখানে আপনারা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বার্তা নিয়ে যাবেন। কে এম নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের দায়িত্বে যারা নিযুক্ত থাকবেন তাদের সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসার। প্রকৃতপক্ষে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্তদের কাছাকাছি আপনারা প্রশিক্ষকরা যাচ্ছেন। তাই আপনাদের ভূমিকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনারা যারা মাঠে কাজ করবেন, তাদের কারণে যেন প্রার্থীদের আশা, আকাঙক্ষা, প্রত্যাশা ব্যাহত না হয়। সে দায়িত্বটা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের জানানো আপনাদের কর্তব্য। সেই প্রশিক্ষণ প্রদান করা আপনাদের দায়িত্ব। নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলেন, সাত লাখের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনের ১০ দিন আগে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক প্রমুখ। দিনব্যাপী কর্মশালায় ৪ শতাধিক প্রশিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।