পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশে ভিন্ন মতাদর্শের নেতা বা কর্মীর মুখ না দেখার পণ এক অলিখিত নিয়ম। অনাকাক্সিক্ষতভাবে দেখা হয়ে গেলেও কুশলাদি জিজ্ঞেস করা হয় না অধিকাংশ সময়ই। সেখানে বরাবরের মতই সিলেটের দুই ‘হেভিওয়েট’ দুই শিবিরের নেতার একজন আরেকজনের বাসায় চলে গেলেন দেখা ও আলাপ করতে। তাও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেই। সিলেটে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর এমন উদার মনোভাব দেশের রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে বলে অনেকের আশা।
দেশের রাজনীতিতে এক মর্যাদার আসন সিলেট-১। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় হেভিওয়েট প্রার্থীদের মাঝে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী তার প্রতিদ্বন্দ্বী একই আসনে মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গতকাল বৃহ¯পতিবার নগরীর ধোপা দিঘীরপাড়স্থ হাফিজ কমপ্লেক্সে যান। এ সময় অর্থমন্ত্রী মুহিত তাকে মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করান। এ সময় ড. মোমেনের অগ্রজ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তাঁর অপর ভাই ঢাকাস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. এ কে আবদুল মুবিন উপস্থিত ছিলেন। গত বুধবার সিলেট-১ আসনের জন্য জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন ইনাম আহমদ চৌধুরী। সূত্র জানায়, ইনাম আহমদ চৌধুরী অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সিলেটের রাজনৈতিক ঐতিহ্য নিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট আলাপ-আলোচনা করেন। একাদশ সংসদ নির্বাচন সিলেটে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিলেটে কোনোভাবেই যেন রাজনৈতিক স¤প্রীতি না ভাঙে সেদিকে লক্ষ্য রেখে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান একে অন্যের প্রতি। এ সময় ইনাম আহমদ চৌধুরী সিলেট-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে অর্থমন্ত্রীকে জানান। প্রার্থী হওয়ায় অর্থমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইনাম আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আমার পছন্দের মানুষ। তার সঙ্গে শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনে কনিষ্ঠ হিসেবে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। তাই তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। তাকে জানিয়েছি, আমি এবার সিলেট-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। তিনি শুনেই আমাকে স্বাগত জানান।’
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ও সিলেটের রাজনৈতিক ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের কর্মজীবনের বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়।’
ইনাম আহমদ চৌধুরীর সাথে ঘনিষ্ট সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু জানান, সৌজন্য সাক্ষাতের অংশ হিসাবে তিনি ড. মোমেনের বাসায় যান। এটা সিলেটের সংস্কৃতি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।