পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশালের বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে প্রায় ২০০ বছর ধরে চলমান নৌকায় ভাসমান চালের হাট। এই ঐতিহ্যবাহী হাটের একটি ছবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠকের শুরুতে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তার সংগৃহীত ভাসমান হাটের ফ্রেমে বাঁধানো ছবি প্রধানমন্ত্রীকে দেন।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে সরবরাহ করা এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বরিশাল জেলার বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে নৌকায় ভাসমান চালের হাটটি প্রায় ২০০ বছর ধরে চাল কেনা-বেচার সবচেয়ে বড় হাট। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত ক্রেতা সমাগম ঘটে এখানে। জেলে না হয়েও বহুকাল ধরে এভাবেই নৌকায় ভেসে প্রত্যাহিক জীবিকা নির্বাহের কাজ করে আসছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা।
এতে আরও বলা হয়, সপ্তাহে দু’দিন শনি ও মঙ্গলবার বসে এই ভাসমান চালের হাট। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এখানকার কেনাবেচা। বানারীপাড়া বাজারের পশ্চিমে এবং সন্ধ্যা নদীর পূর্ব তীরে বসা এই হাট থেকে বরিশাল জেলা কার্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। প্রায় সারা বছরই চালু থাকে এই হাট। এমনকি আগস্ট থেকে অক্টোবর (আউশ) এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ (অন্যান্য জাত) পর্যন্ত ধানের মৌসুম চলাকালে এখানে সপ্তাহে অতিরিক্ত দু’দিন (বুধ ও শুক্রবার) হাট বসানো হয়।
স্থানীয় মানুষের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই হাটে বরিশাল অঞ্চলের বিখ্যাত সুগন্ধি জাতের ‘বালাম’ চাল পাওয়া যায়। বালাম ছাড়াও হাটে আরও দু’টি বিশেষ জাতের চাল গোদাই ও আউশের সহজ লভ্যটাও রয়েছে। বানারীপাড়া উপজেলার অধিকাংশ কৃষকই এই হাটের বিক্রেতা। কেউ নিজে ধান চাষ না করলেও বাজার থেকে ধান কিনে তা থেকে চাল প্রস্তুত করে ভাসমান হাটে এনে বিক্রি করেন। প্রচুর নদী-নালা থাকায় আগে এই অঞ্চলের যোগাযোগের মূল মাধ্যম ছিল নৌকা। এই হাট থেকে চাল কিনতে এক সময় ঢাকা থেকে বড় বড় নৌকা আসতো। আর এভাবেই সন্ধ্যা নদীর ওপর ধীরে ধীরে বিস্তৃতি ঘটে ভাসমান চালের হাট।
বানারীপাড়া উপজেলার নলেশ্রী, দিদিহার, দাণ্ডয়াট, বাইশারী, মসজিদ বাড়ি, আউরা, কালিবাজার, খোদাবকশ, মঙ্গল, চাখার, বাকপুর, ঝিরাকাঠি, ভৈতস্বর, চালতাবাড়ি, চাউলাকাঠি, কাজলাহার, ব্রাহ্মণকাঠি, জম্বু দ্বীপ গ্রামের ৯৫ ভাগ কৃষক এই হাটের ওপর নির্ভরশীল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ভাসমান এই হাটে প্রতি মণ চাল এক হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়, যেখানে অন্যান্য বাজারে প্রতি মণ চালের দাম পড়ে প্রায় এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। বিচিত্র জাতের চাল পাওয়ার পাশাপাশি ন্যায্য মূল্যের কারণে এই বাজার সবার কাছে সমাদৃত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।