পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে নিজেরা ব্যবসা করে না। ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পুনরায় নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আধুনিক ট্যানারি ও স্বতন্ত্র চামড়াশিল্প অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। সরকার ইতিমধ্যে শিল্পাঞ্চলের উপযোগী স্থান নির্ধারণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার এন্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা চামড়াশিল্পের নেতাদের বলেন, আমি নির্বাচিত হলে শিল্পাঞ্চল ও ট্যানারি নির্মাণ করব। অন্যথায় আপনারা নিশ্চিত করবেন যে নতুন সরকার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রত্যেকটিতে বিশেষ করে চামড়াশিল্পের জন্য একটি করে স্থান রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। দেশে বিভিন্ন চামড়া শিল্প গড়ে তোলায় ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিভিন্ন ব্রান্ডের চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশেই তৈরী হচ্ছে, যেগুলো তারা তাদের দেশে নিয়ে গিয়ে ফিনিশিং দিয়ে মার্কেটে দিচ্ছে।
তিনি চামড়া ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই কাজগুলো যেন আরো ভালভাবে করা যায় আপনারা তা খেয়াল রাখবেন। এজন্য যা কিছু সহযোগিতা দরকার, আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে, আমরা তা করবো। সরকার প্রধান বলেন, এই সেক্টরটিকে আমি মনে করি বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। সেই সম্ভাবনাটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সেইদিকে দৃষ্টি দিয়েই আমাদের সবরকম ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি রপ্তানী বাস্কেট বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের তাগিদ দিয়ে বলেন, সবসময় আপনাদের মাথায় রাখতে হবে আরো কোন কোন দেশে আমরা রপ্তানী করতে পারি। কোন দেশের চাহিদা কি, কোথায় আমরা আমাদের রপ্তানীটা বাড়াতে পারি। তাহলে আমাদের উৎপাদনও যেমন বাড়বে, দেশের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে, ব্যবসায়ীদের ব্যবসা এবং রপ্তানী উভয়ই বৃদ্ধি পাবে। এজন্য আমাদের বাজেটও বাড়াতে হবে এবং প্রণোদণাও দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিজেরা ব্যবসা করে না বরং ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এই বিষয়ে ইতোমধ্যেই তার সরকার সকল দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারগণকে বাংলাদেশে ডেকে তাদের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, একসময় কূটনীতিটা ছিল পলিটিক্যাল আর এখন হয়ে গেছে ইকোনমিক্যাল। কি ধরনের বিনিয়োগ আমাদের দেশে আসতে পারে সেটাকেই খুঁজে নিয়ে আসা এবং সেভাবেই কাজ করতে হবে।
তিনি এ সময় ইইরোপীয় ইউনিয়ন থেকে জিএসপি সুবিধা এবং বিভিন্ন দেশের ডিউটি ফ্রি এবং কোট ফ্রি বাংলাদেশী পণ্যের প্রবেশাধিকার সুবিধা থাকারও উল্লেখ করে বলেন, এইভাবে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আমাদের প্রচেষ্টা শুভফল দেশের মানুষ যেমন পাচ্ছে তেমনি আপনারা ব্যবসায়ীরাও পাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি এক্ষেত্রে আহবান জানাব, আমাদের ব্যক্তি খাতগুলোও যেন আরো বেশি করে এগিয়ে আসে। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরীর উদ্যোগটা সরকারের পাশাপাশি তারাও যেন গ্রহণ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যুব সমাজকে একটি দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ, আমাদের তরুণ মেধাবী যুবশক্তিকে একটু সুযোগ করে দিলে তারা নিজেদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলে তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশিষ বসু, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। এতে লেদার গুডস এন্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারাস এন্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি সফিউল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।