পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
'জনগণ যদি ভোট দেয় তবে ক্ষমতায় আসবো। তবে যে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে আশা করি তার সুফল আসবেই। একটা শুভ সূচনা রচিত হবে।' সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বিকালে ঢাকা সেনানিবাসে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম আজকে এগিয়ে চলার পথে আমরা যখন যাত্রা শুরু করেছি, ইনশাল্লাহ এই যাত্রা আর কেউ বন্ধ করতে পারবে না। শুধু আপনাদের দোয়া চাই।
শসস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধানমন্ত্রী বিকালে সেনাকুঞ্জে উপস্থিত হন। এ সময় তিন বাহিনী প্রধান তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার লাইনগুলো তুলে ধরেন,
'যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গিকার।'
তিনি জীবনানন্দ দাসের কবিতার লাইনগুলি স্মরণ করেন
'আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে এই বাংলায়'।
তিনি বলেন, জনগণ চাইলে এই বাংলায় আমি বারবার ফিরে আসবো।
তিনি সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত দেশের মানুষের অবদানের কথা স্মরণ করেন। স্মরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা এবং সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে আমাদের সশস্ত্রবাহিনীকে সকল দিক দিয়ে সক্ষম ও শক্তিশালী করে তুলবো যাতে আমাদের ওপর কেউ আক্রমণ করতে না পারে।
এ সময় তিনি বলেন, সকল বাহিনীর উন্নয়ন করেছে আমার সরকার। সকলের বেতন, ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাতে সকলে উন্নত জীবন যাপন করতে পারে।
তিনি বলেন, '১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। দেশের সুনাম রক্ষায় রোহিঙ্গাদের পাশে দেশের সকল সশস্ত্র বাহিনী যেভাবে দাঁড়িয়েছে, সকল বাহিনী, পুলিশ, র্যাব এবং কক্সবাজার জেলাবাসী ও সিভিল প্রশাসন যেভাবে দাঁড়িয়েছে তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোঃ নাসিম, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ মন্ত্রীপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যগণ।
উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সশস্ত্র বাহিনীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ, ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন, যুক্তফ্রন্টের নেতা বি. চৌধুরী, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।