পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ভবিষ্যতে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ চাই। গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, উইনি এস্ট্রাপ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়শী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমি আপনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে জানতে পেরে আনন্দিত হয়েছি।
দেশের উন্নয়নে তার সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সরকারের ধারবাহিকতা বজায় থাকায় এখন উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা জনগণের খাদ্য নিরাপত্তাসহ মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। শেখ হাসিনা এ সময় সরকারের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নারীর ক্ষমতায়নের উল্লেখযোগ্য সাফল্যসমূহও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তার সরকারের বিবিধ পদক্ষেপের কারণে দেশের নারী সমাজ এখন দেশের সকল সেক্টরে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যাবার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, মিয়ানমারের উচিত তাদের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়া। বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে তার সরকারের পদক্ষেপসমূহের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আবাসনের জন্য তার সরকার নোয়াখালীতে একটি চরের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে।
এই বৈঠকের পর গতকাল দুপুরে ঢাকায় নবনিযুক্ত দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রদূত হু ক্যাং-ইল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে এবং দেশে একটি তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ এবং সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী কোরীয় রাষ্ট্রদূতকে জানান, সরকার দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে এবং এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতার হাত প্রসারিত করলে কাজটি আরো সহজ হয়। তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়াকে আরো বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধিষ্ণু অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করে দক্ষিণ কোরিয় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটা খুবই প্রশংসার দাবি রাখে যে, বাংলাদেশ বিগত কয়েকবছর যাবত ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এটি একটি বিরাট অর্জন। হু ক্যাং-ইল বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা দানে প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।