পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রফতানিতে সেবা খাতের অবদান ক্রমেই বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিভিন্ন ধরনের সেবা রফতানি করে প্রায় ১৪০ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৫৫ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আয় এসেছিল ৯০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। রফতানির এ আয় লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল রোববার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদেন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের সেবা রফতানির এ চিত্র ইপিবি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিভিন্ন ধরনের সেবা রফতানি খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২৫ ডলার। আয় হয়েছে ১৪০ কোটি ৯৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে পণ্য ও সেবা খাত থেকে দেশের আয় হয়েছে ১৪০ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৯০ কোটি ৬৩ লাখ হাজার ডলার। সে হিসাবে এ তিন মাসে সেবা খাতে রফতানি আয় বেড়েছে ৫৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ রফতানি আয়ের মধ্যে ১৩৮ কোটি ৩৮ লাখ সরাসরি সেবা খাত থেকে এসেছে। বাকিটা দেশের বন্দরগুলোতে পণ্যবাহী জাহাজগুলোর কেনা পণ্য ও সেবা এবং মার্চেন্টিংয়ের অধীনে পণ্য বিক্রির আয়।
ইপিবির সহকারী পরিচালক মো. রফিফুল ইসলাম বলেন, দেশের স্থল, সমুদ্র বা বিমানবন্দরে বিদেশি পরিবহনগুলো যে সব পণ্য ও সেবা- যেমন জ্বালানি তেল ও মেরামত সেবা-কিনে থাকে সেগুলোকে সেবা খাতের আওতায় ধরা হয়েছে। আর কোনো অনাবাসীর কাছ থেকে পণ্য কিনে একই পণ্য কোনো অনাবাসীর কাছে বিক্রি করাকে মার্চেন্টিং বলে। এ প্রক্রিয়ায় মোট বিক্রি থেকে মোট ক্রয় বাদ দিয়ে নিট মার্চেন্টিং রফতানি আয় হিসাব করা হয়। সেবা খাতের একক উপখাত হিসেবে সরকারি পণ্য ও সেবা উপখাত থেকে সর্বোচ্চ আয় হয়েছে ৫৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার।
অন্য উপখাতগুলোর মধ্যে ‘অন্যান্য ব্যবসায় সেবা’ থেকে ২৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে ১৪ কোটি ৯১ লাখ ৮ হাজার ডলার, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন সেবা থেকে ১৯ কোটি ১ লাখ ৮ হাজার ডলার, বীমা ছাড়া আর্থিক সেবা খাত থেকে ২ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার ডলার এবং ভ্রমণ সেবা উপখাত থেকে ৮ কোটি ১৫ লাখ ৯ হাজার ডলার রফতানি আয় হয়েছে। জুলাই-সেপ্টম্বর সময়ে সার্বিকভাবে সেবা খাত থেকে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২২ কোটি ৫৭ লাখ ৬ হাজার ডলার। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ তিন মাসে শুধু বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি থেকে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার। তার সঙ্গে সেবা রফতানির আয় ১৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৭ হাজার ডলার যোগ করে দেশের মোট রফতানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি ১২ লাখ ৫ হাজার ডলার।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে সেবা খাত থেকে মোট রফতানি হয়েছে ৪২৬ কোটি ডলার। ওই সময়ে পণ্য রফতানি করে দেশের আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৬ কোটি ৮১ লাখ ৭ হাজার ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের পণ্য ও সেবা খাত মিলে থেকে মোট রফতানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ১৭৮ কোটি ৭ লাখ হাজার ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।