পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ২৩টি জেলাকে এইডসের জন্য ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকারের এইডস/এসটিডি কর্মসূচি। এ কারণে ওই ২৩ জেলায় ইতিমধ্যে ২৩টি হাসপাতালে এইডস’র পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এইডস/এসটিডি কর্মসূচি আয়োজিত এক এ্যাডভোকেসি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার মহাখালীতে অধিদফতরের পুরাতন ভবনের ৫ম তলায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঝুকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো-বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, দীনাজপুর, সিলেট, মৌলভিবাজার।
এ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিবি-ল্যাপ্রোসি এবং এইডস/এসটিডি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টার অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম, পরিচালক ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, কর্মসূচির সিনিয়র ম্যানেজার আক্তারুজ্জামান মন্ডল, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ প্রমুখ।
প্রফেসর ডা. মো. শামিউল ইসলাম জানান, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে হবে। তবে এইডস নির্মূল মানে বার্ষীক এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ৩শ’ জনে নামিয়ে আনা। সর্বশেষ হিসেবে ২০১৭ সালে সারাদেশে ৮৬৫ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, একটা সময় ধারণা ছিল এইডস মানে নিশ্চিত মৃত্যু। তবে বর্তমানে এইডস মানে নিয়ম মেনে চললে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা সম্ভব।
এ সময় জানানো হয়, বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইডস রোগী সনাক্ত হয়। ইউএনএইডস’র হিসেবে অনুযায়ী বর্তমানে দেশে সম্ভাব্য রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। ইতিমধ্যে যেসব রোগীদের সনাক্ত করা হয়েছে তাদের ৩১ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অভিবাসী শ্রমিক। এ পর্যন্ত মোট এইডস রোগী সনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৫৮৬ জন এবং এর মধ্যে ৯২৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। চিহ্নিত আক্রান্ত রোগীদের পেছনে প্রতি মাসে ওষুধ বাবদ সরকারের ব্যয় হয় ৬ থেকে ১৪ হাজার টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।