পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ও বৌ ধান ভানেরে ঢেঁকিতে পার দিয়া, ঢেঁকি নাচে, বৌ নাচে হেলিয়া দুলিয়া, ও বৌ ধান ভানেরে’। এমনি অনেক কবিতা-গান রয়েছে ঢেঁকি নিয়ে। গ্রামবাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি হারিয়ে যাচ্ছে যান্ত্রিক সভ্যতায়। শহর ছাড়িয়ে গ্রামে রয়েছে রাইচ এন্ড ফ্লাওয়ার মিল।
অথচ এমন এক সময় ছিল যখন ধান থেকে চাল তৈরির একমাত্র মাধ্যমই ছিল ঢেঁকি। ঢেঁকিছাঁটা চাল স্বাস্থ্যের জন্য কত যে উপকারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তখন গাঁয়ের বৌ-ঝিরা ঢেঁকিতে ধান ভানতো পালাক্রমে। ধান ভানার সময় মনের আনন্দে গান-গীত গাইতো সুর করে। পান চিবুতে চিবুতে ধান ভানার সেসব সুখ স্মৃতির গল্প কথা এখনো শোনা যায় পাড়া মহল্লায় মুরুব্বিদের কাছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে যেন সেসব কল্পকাহিনী ছাড়া আর কিছুই না।
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে জমি থেকে পাকা নতুন ধান ওঠার পর ঢেঁকিতে ধান ভেনে নবান্ন উৎসবের আটা তৈরি ও পিঠা তৈরির যে ধুম পড়তো, তাও যেন বর্তমান প্রজন্মের কাছে কল্পকাহিনী। প্রত্যেক বাড়িতে ধুম পড়ে যেত পিঠা ও পায়েশ তৈরির। তখন কি যে আনন্দ বিরাজ করতো ঘরে ঘরে।
ঝিনাইগাতীর কৃষক মো. সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে শিশু-কিশোররা মনের আনন্দে নেচে-গেয়ে বাহারি সাজের রকমারি পিঠা-পায়েশ খেত। বর্তমানে সেসব শুধুই স্মৃতি!
তিনি আরো বলেন, সেই গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকিও এখন আর দেখা যায় না। আর ঢেঁকিছাঁটা চালতো মেলেই না। অবশ্য এখনো গ্রামবাংলায় ২/১টি ঢেঁকি চোখে পড়ে। ২/৪ বছর পর হয়তো আর চোখেই পড়বে না। ফটো ফ্রেমে বন্দি থাকবে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আর ঢেঁকিছাঁটা চালের গল্পকথা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।