পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী করতে চান জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ইতোমধ্যে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর) আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। নির্বাচন করা নিয়ে সম্প্রতি তিনি তার ফেসবুকে তার অবস্থানের ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি আমার মাকে সমাজ সেবায় নিয়োজিত থাকতে দেখেছি। তার মানবসেবা দেখে দেখে বড় হয়েছি। দুইমুঠ ভাত থেকেও যে আরেকজনকে সহায়তা করা যায় নীরবে তা দেখে বিস্মিত হয়েছি। মানুষের প্রতি ভালবাসা, পশুর প্রতি ভালবাসা, অসহায়ের পক্ষে কথা বলা এগুলো আমার মায়ের বাড়াবাড়ি রকমের অভ্যাস। তার আদর্শেই বড় হবো খুব স্বাভাবিক। বড় হয়ে যখন পেশাদার শিল্পী হয়ে রুটি-রুজী শুরু করেছি তখন থেকেই আমি অসহায়ের পাশে আছি। সমাজের সব অসংগতির বিরুদ্ধে আমার কঠোর অবস্থান। একজন সফল শিল্পী হয়েও আমি কখনোই আমার বিত্তকে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তে পরিবর্তন করিনি। একথা আমার সাথে যারা চলাফেরা করেন তারা সবাই একবাক্যে বলবেন। আমার মানসিক শক্তি, শারীরিক শক্তি সবই বর্তমান। আমি একজন সাহসী মানুষ বটে। আর মানুষের পাশে বৃহৎ আকারে দাঁড়াতে বড় একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার। নিজেকে সৎ ও নির্ভিক দাবি করে কনক চাঁপা বলেন, আমার অর্থনৈতিক শক্তি দরকার, তবে সে অর্থ আমার জন্য না। দুইমুঠ ডালভাত খাওয়ার জন্য বাকী সারাজীবনের অর্থ-কড়ি আমার আছে এবং আমাকে যারা অপছন্দ করে তারাও জানে কনকচাঁপা আর যাই হোক টিন আর গম চুরি করবে না, ইনশাআল্লাহ। আমি একজন সৎ মানুষ ও বটে। এ আমার অহংকার নয়। এ আমার সততা, আমার গর্ব। আমার প্রিয় বাক্য ‘ভালবাসি প্রাণ ভালবাসি পৃথিবী’। একটা শুঁয়োপোকাকেও ভালবাসা দিতে আমার বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই। ভালবাসা দিয়েই আমি পথ সাজাবো ইনশাআল্লাহ। কনক চাঁপা বলেন, আমি আমার গ্রাম কাজীপুরের মানুষের পাশে গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়াতে চাই। তারা অনেক দিন ধরে নির্যাতিত একথা সবাই জানে। সেখানে আমার আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো পথ আমার ছিলো কি? আমি একজন পঞ্চাশের ঘরের মানুষ। এই বয়সেই গানের জগতের সব পুরস্কার সব ভালবাসা সব আশীর্বাদ পেয়েছি। আরামদায়ক এই তুলতুলে ফুলফুলে জীবন ছেড়ে যুদ্ধে নামলাম মানুষকে ভালবেসে। কারণ তাদের অপার ভালবাসার বিনিময়ে তাদের অনেক বেশী ভালবাসা উপহার দিতে চাই। নিজের নির্বাচনী এলাকার আশঙ্কার কথা জানিয়ে কনক চাঁপা বলেন, আমার যে আসন তাতে যে যুদ্ধ হবে তাতে আমি অপঘাতে মরেও যেতে পারি সে আশংকাও আমার আছে। থাকুক, আমি সেসব পরোয়া করিনা। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করিনি সেই আফসোস থেকেই আমি দেশের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমি যুদ্ধে নামলাম হারার জন্য নয়, কিন্তু হেরে গেলেও লজ্জিত হবো না কারণ আমি নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।