পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, আজীবন ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ নতুন নতুন আইন করছে, সংবিধান সংশোধন করছে। নির্বাচনের নামে তারা ভোট কেন্দ্র দখল করে জোর করে নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী করছে। আর তাদের সহযোগিতা করছে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন।
আজ রবিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে শুধু শ্রমিক কেন কোনো মানুষের কোনো অধিকার নেই। তাই নিজেদের অধিকার আদায়ে সকলকে আন্দোলন করতে হবে।’
‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার গত সাত বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে’ অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, ‘দেশের মানুষের কষ্টের টাকা পাচার হলে কীভাবে উন্নয়ন হবে? উন্নয়নের নামে প্রকল্প নিয়ে সে টাকা লুটপাট করা হয়। জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে বর্তমান সরকার লুটপাট করছে।’
শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা না খেয়ে থাকবেন আর তারা (সরকার) লুটেপুটে খাবে, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করবে এটা হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নিজের লোক ছাড়া এই সরকারের কাছে কারো কোনো অধিকার নেই। অধিকার আদায় করে নিতে তাই সবাইকে আন্দোলন করতে হবে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘সাভারের রানা প্লাজায় নিহত-আহত শ্রমিকদের জন্য বহু টাকা উঠানো হয়। কিন্তু সেই টাকা শ্রমিকরা পায়নি। সে সব টাকা গেল কই? শ্রমিকরা কেন সেই টাকা পেল না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়, এরা জবর দখলকারী সরকার। জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসে প্রতিদিন নতুন নতুন আইন করছে যাতে চিরদিন ক্ষমতায় থাকা যায়। এ জন্য তারা সংবিধান সংশোধন করছে। নির্বাচনের নামে তারা ভোট কেন্দ্র দখল করে জোর করে নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী করছে। আর তাদের সহযোগিতা করছে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন।’
‘বাংলাদেশকে তারা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে। তাই তারা যা ইচ্ছা তাই করছে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোন আস্থা ও বিশ্বাস নেই’ বলেন খালেদা জিয়া। ‘কিন্তু এতে করে তাদের শেষ রক্ষা হবে না’ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন অথর্ব। এই কমিশন দিয়ে কোনোদিন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। হাসিনার সরকার যেমন অবৈধ এই কমিশনও অবৈধ।’
খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দীতে পৌঁছান বিকেল সোয়া ৪টার দিকে। তিনি মঞ্চে ওঠার সময় নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। খালেদা জিয়া হাত নেড়ে শ্রমিকদের অভিনন্দনের জবাব দেন। বিএনপি ও শ্রমিক দলের নেতারা সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বেলা দেড়টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশ স্থলে হাজির হতে থাকেন দুপুরের আগে থেকেই।
এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে উদ্যান এলাকায় মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশন মিলনায়তনে পুলিশের জলকামান, প্রিজন ভ্যানও প্রস্তুত দেখা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আহমেদ বীর বিক্রম, হারুন অর রশিদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন, ড. ওসমান ফারুক, আহমেদ আজম খান, এম এ মান্নান, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।