পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হবে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ভালো থাকবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আবারও সেই অপশাসন ফেরত আসবে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে। নৌকার বিজয়ে সবার একসাথে কাজ করতে হবে। নির্বাচনে দলের প্রার্থী যেই হোক না কেনো, যাকে নৌকা দেয়া হবে তার পক্ষে সকল প্রার্থীদের কাজ করতে হবে। কোন্দলের কারণে নৌকার পরাজয় মেনে নেয়া হবে না। দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহি হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর পর্দার আড়ালে থেকে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করলে সে বিষয়েও আওয়ামী লীগ সকর্তাবস্থানে।
আজ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন বলে নীতি-র্নিধারনী সূত্রে জানা গেছে। সকাল ১১টায় ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎকার নেয়া হবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৯ নভেম্বর দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৩৬৭টি ফরম বিক্রি করা হয়। প্রতিটি ফরমের মূল্য ৩০ হাজার টাকা হিসেবে মোট আয় হয়েছে ১৩ কোটি ১০ লক্ষ দশ হাজার টাকা। যারা ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন তাদের সকলকেই আজ ডাকা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, সকল প্রার্থীকে আজ ডাকা হলেও এতো প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হবে না প্রধানমন্ত্রীর। তবে সম্ভবত কয়েকটি আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। আর আগামী নির্বাচনের বিষয়ে সকলকে দিক নির্দেশনা দেবেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে যে বিষয়গুলো তিনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন তা হল: হলো: কেনো প্রার্থী, এলাকার সমস্যা, সম্ভাবনা সম্পর্কে জ্ঞান, বিগত সময়ে দলের জন্য অবদান, যদি এমপি হয়ে থাকেন, তাহলে বিগত দিনে তার উল্লেখযোগ্য কাজ, বিশেষ সংকটকালে (যেমন: ওয়ান ইলেভেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ২০১৪, ১৫ আগুন সন্ত্রাস) তার দৃঢ়তা ও ভূমিকা। কতদিন ধরে আওয়ামী লীগ করছেন।
সাক্ষাৎকার শেষে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এবার একেকটি আসনে আওয়ামী লীগের গড়ে প্রার্থী ১৫ জন। একক প্রার্থী রয়েছে ৭টি আসনে, আর সর্বোচ্চ প্রার্থী বরগুনা-১ আসনে ৫২ জন, নারায়নগঞ্জ-১ আসনে ৪০ জন। এছাড়া একেকটি আসনে ১৫ থেকে ২৫ জন মনোনয়ন কিনেছেন। এ বিষয়টিকে দলের কোন্দলের বহি:প্রকাশ হিসেবেই দেখছেন নীতি-নির্ধারকরা। কোন্দলের নিরসন করতে দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারকরা কাজ করলেও তা সমাধান হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতারাই এমপি ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কোন্দলে জড়িত। তাই এ বিষয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই সরাসরি দেখভাল করবেন এবং দিক নির্দেশনা দেবেন সবাইকে। যেন কোন্দলের কারণে দলের মনোনিত প্রার্থীর পরাজয় না হয়।
এছাড়া দলের প্রার্থীর মনোনয়নের পর অন্যরা বিদ্রোহি হিসেবে দাড়ালে দলীয় ভাবে তা কঠোরভাবে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এদিকে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে একজন বিদ্রোহি হলে অন্য প্রার্থী ও স্থানীয় নেতারা তাকে সমর্থন দিয়ে দলের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেন। ফলে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। এ বিষয়েও দল এবার কঠোরভাবে দেখবে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনও ১৪ দলীয় জোটের মাধ্যমে নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টি পৃথক নির্বাচন করলেও এবার মহাজোটের হিসেবে নির্বাচন করবেন। ফলে ১৪ দলের শরিক ও জাতীয় পার্টিকে প্রায় ৭০টি আসন ছেড়ে দেবে আওয়ামী লীগ। সেজন্য এসব আসনে দল যাদের মনোনয়ন দেবে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এ বিষয়ে তৃণমূলের অনেক প্রার্থী কঠোর পরিশ্রম করলেও তাদের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করা ছাড়া দলের আপাতত কিছু করার নেই। সেজন্য ওই সব প্রার্থীদের মানসিকভাবে প্রস্তুতির বার্তাও দেবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তার বক্তব্য থাকবে, দল ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হবে। এতে আমরা সবাই ভাল থাকবো। আর জোটের বিষয়টি আমাদের দেখতেই হবে। শরিকদের আসনে স্বত:স্ফূর্তভাবে দলের নেতাকর্মীদের কাজ করার বিষয়েও নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রচার-প্রচারণার বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। গত দশ বছরের উন্নয়ন, নির্বাচনী ইশতেহারে দলের বক্তব্যগুলো প্রচারের জন্য বলবেন তিনি। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতের আমলের দু:শাসনের চিত্রও তুলে ধরার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেবেন তিনি।
দলের মনোনয়ন না পেলেও সকল প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার কথা বলবেন শেখ হাসিনা। আর যেকোন পরিস্থিতিতে সবাইবে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেবেন।
এ বিষয়ে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিবেন এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবেন। দলীয় শৃঙ্খলা, কোন্দাল নিরসন, প্রার্থী যেই হোক, নৌকার পক্ষে কাজ করার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে পারেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সকল প্রার্থীকে নৌখার পক্ষে কাজ করতে হবে। বিদ্রোহি হয়ে নির্বাচন করলে সরাসরি বহিষ্কার এবং কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।