Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

হাসিনা : অ্যা ডটারস টেল’ মুক্তি পাচ্ছে ১৬ নভেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত ডকুফিল্ম ‘হাসিনা : অ্যা ডটারস টেল’ মুক্তি পাচ্ছে ১৬ নভেম্বর। ওইদিন রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স, মধুমিতা সিনেমা হল, বøকবাস্টার সিনেমাস ও চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে একযোগে মুক্তি পাবে। এর একদিন আগে ৭০ মিনিট ব্যাপ্তির এই ডকুফিল্মটি ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সি আর আই) আয়োজিত রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জনানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ডকুফিল্মটির প্রযোজনা সংস্থা সিআরআইয়ের নির্বাহি পরিচালক সাব্বির বিন শামস, ডকুফিল্মটির পরিচালক পিপলু খান ও ছবিটির পরিবেশক গাউসুল আজম শাওন ও শিবু কুমার শীল। সেন্টার ফল রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর পক্ষে ডকুফিল্মটি প্রযোজন করেছেন রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু।
পরিচালক পিপলু খান বলেন, এই ডকুফিল্মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে উপস্থাপন করা হয় নি। এসবের বাইরেও তিনি একজন সাধারণ মানুষ, বঙ্গবন্ধু কন্যা সেটিকে সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। যার কারণে শেখ হাসিনার চারপাশের মানুষগুলোও ছবিটিতে রয়েছেন চরিত্র হিসেবে।
কাজের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা পেয়েছেন উল্লেখ করে পিপলু খান বলেন, শেখ হাসিনাকে আমি যেভাবে দেখাতে চাই, সেভাবেই কাজটা করেছি। কোনো নিয়মনীতির ছক তৈরি করে দেননি তিনি। যার ফলে কাজটা আমার মনের মতো হয়েছে। যেহেতু শেখ হাসিনা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে কারণে ইতিহাসের নানা ঘটনা, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ক্ষমতার পালাবদল, ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের নানা অভিজ্ঞতা এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গিসহ প্রতিটি বিষয়ে গবেষণা করতে হয়েছে। কাজটি চ্যালেঞ্জিং বলেই পাঁচ বছর সময় লেগেছে।
কাজের প্রাথমিক প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, ১৪ পৃষ্ঠার একটি কনসেপ্ট পেপার ও কিছু সঙ্গীত- এটাকে সঙ্গী করেই কাজটা শুরু করি। এর পর প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন কাজের ফাঁক গলে সময় বের করে শুটিং করা হয়েছে। যার কারণে এই দীর্ঘ সময় লেগেছে কাজটি শেষ করতে। আশা করছি, ছবিটি সবার ভালো লাগবে। যারা শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন বা তাকে যারা ভালোবাসেন না- তাদের প্রত্যেককে তিনি ছবিটি দেখার জন্য অনুরোধ করেন।
সাব্বির বিন শামস বলেন, আমরা একজন শেখ হাসিনাকে দেখতে পাই দেশের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে। যিনি কিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলোকে সম্পন্ন করছেন। তার বাইরের একজন শেখ হাসিনা এ চলচ্চিত্রে উঠে এসেছেন।
গাউসুল আজম শাওন বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর নির্মিত কোন প্রামাণ্যচিত্র নয়। এটা বঙ্গবন্ধু কত্যার উপর নির্মিত চলচ্চিত্র। যাতে ৭৫- এর আগে ও পরের শেখ হাসিনাকে সবাই জানতে পারবেন।
ডকুফিল্মটিতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার আবেগঘন কণ্ঠ আর দৃশ্যায়নে ফুটে উঠেছে, বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে নৃশংস হত্যার পর বিষাদপূর্ণ সময় ও দুই বোনের নির্বাসিত জীবনসংগ্রামের চিত্র। শেখ হাসিনা কখনও বঙ্গবন্ধু কন্যা, কখনো জননী, কখনো বোন, কখনো গণমানুষের ত্রাতা রূপের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে এই প্রামাণ্যচিত্রে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও অ্যাপেলবক্স ফিল্মসের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘হাসিনা :অ্যা ডটারস টেল’ চলচ্চিত্রটি। এর চিত্রগ্রহণ করেছেন সাদিক আহমেদ। সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন এবং সঙ্গীতায়োজনে সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র।
প্রধানমন্ত্রীর ‘লেটস টক’ স্থগিত
অনিবার্য কারণবশত তরুণদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে অনুষ্ঠানটি অদূর ভবিষ্যতে নিকটবর্তী সময়ে নতুন তারিখে হবে বলেও সিআরআই এর পক্ষ থেকে জানানো হয়। ১৬ নভেম্বর বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানটি বিটিভিসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে একযোগে সম্প্রচার করার কথা ছিল।
নতুন প্রজন্ম ও বাংলাদেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা জানানো এবং সেই সঙ্গে তরুণদের স্বপ্নের কথা, স্বপ্ন পূরণের কথা এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কথা শোনার কথা ছিল।
জানা গেছে, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের তরুণদের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর কেন তরুণদের কাছে তার জনপ্রিয়তা, সেটি আরও একবার প্রমাণ করতে ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল তার। সারাদেশ থেকে বাছাই করা ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী তরুণের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ