পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তাদের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করা আমাদের লক্ষ্য।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এছাড়া সকালে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতেও তিনি কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাকে শক্তিশালী করবে। আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটাতে আমরা একসাথে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই এবং যে দল জনগণের ভোট পাবে তারা নির্বাচনে জিতবে। চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে এক সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে আমরা একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলগুলো সংলাপে বিশেষ কিছু দাবি তুলেছে এবং আমরা সেগুলোর অধিকাংশই মেনে নিয়েছি। এখন সরকার নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে সবাই যেন সমান সুযোগ পায় তা নিশ্চিতে সতর্ক থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭০টি রাজনৈতিক দলের ২৩৪ জন রাজনৈতিক নেতা সংলাপে অংশ নিয়েছেন, যা ২০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে চেলেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এবং তার দল সব সময় চায় উন্নয়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকুক এবং ‘এই ধারা যাতে থেমে না যায়’।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ৩০০টি নির্বাচনী আসনের প্রত্যেকটিতে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য সেরা প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়ার চেষ্টা করবে। তবে কিছু আসন দলের মিত্রদের ছেড়ে দেয়া হবে। এ সময় দলের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও রাশেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গতকাল সকালে যুব লীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্র জোরদার এবং অব্যাহত উন্নয়নের স্বার্থে সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান নিশ্চিত করা। আমি আশা করি অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এই নির্বাচনে অংশ নেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এটাই বাস্তবতা যে নির্বাচনে অংশ না নিলে একটি রাজনৈতিক দলের শক্তি হারায়। আমরা আশা করি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনে অংশ নেবে এবং এর মাধ্যমে গণতন্ত্র অধিকতর শক্তিশালী ও দেশের আরো উন্নয়ন হবে। যুবলীগ সভাপতি আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ বক্তৃতা করেন। এরআগে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতৃবৃন্দ ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।