Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইদহে কাশফুলের সৌন্দর্য...

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম | আপডেট : ১:৪২ এএম, ১০ নভেম্বর, ২০১৮


মো. হাবিব ওসমান, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) থেকে : গায়ের মেঠো পথ মানেই দু’পাশে কাশফুল আর নীল আকাশে ছেঁড়া মেঘের ভেলা। এমন দৃশ্য এখন খুব একটা দেখা যায় না। তারপরও আছে কাশফুল। এই ফুল এক সময় ছিল সৌন্দর্য্য। বর্তমানে কাশফুল চাষ করে আর্থিক সচ্ছলতাও পাওয়া যাচ্ছে।
ঝিনাইদহে বাণিজ্যিকভাবে কাশফুলের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। গাদা ও রজনী গন্ধাসহ বিভিন্ন ফুল চাষের জন্য ঝিনাইদহের বেশ খ্যাতি রয়েছে। এবার কাশফুল চাষে ঝুঁকেছেন ঝিনাইদহের কৃষকরা। অন্যান্য ফসল চাষের মত কাশফুল চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। কাশবনে দুই ধরনের গাছ জন্মায়। চিকন আকারের ছোট গাছগুলো খড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর বড় এবং মোটা আকারের গাছগুলোকে ঝাঁটি বলে। কাশবন থেকে পাওয়া খড় ও ঝাঁটি পান বরজের জন্য খুবই প্রয়োজন। খড় দিয়ে পানের বরজে ছাউনি দেয়া হয়। পান গাছ বাঁশের শলার সাথে বেধে উপরে তুলতে হয়। সুতালি বা অন্য কিছু দিয়ে বাধলে বৃষ্টির পানিতে ভিজে অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। খড় দিয়ে বাধলে অনেক দিন থাকে। তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না।
এ কারনে বরজে খড় ব্যবহার করা হয় বলে পান চাষিরা জানায়। অপরদিকে ঝাঁটি বরজের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ঘরের ছাউনি দিতেও ব্যবহৃত হয় এ খড়। কাশফুল চাষ করতে খরচ হয় খুবই কম। জমিতে ফসলের চাষ বন্ধ করে ফেলে রাখলে এক বছর পর আপনা-আপনিই গজিয়ে ওঠে কাশফুল।
কৃষকরা জানান, কাশবনে গজিয়ে উঠা অন্যান্য আগাছাগুলো পরিষ্কার করে কিছু সার দিলেই চলে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে কাশবন কাটতে হয়। কাশবন ও খড় বিক্রি করতে তেমন ঝামেলা হয় না। জমি থেকেই পাইকাররা ছাড়াও বরজের মালিকরা কিনে নিয়ে যায়। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন জানান, তিনি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে কাশফুলের চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকা। গত বছর তিনি ৮৫ হাজার টাকার ঝাঁটি বিক্রি করেছিলেন। চলতি বছরও তিনি লক্ষাধিক টাকার ঝাঁটি বিক্রি করবেন বলে আশা করেছেন। শ্রীরামপুর গ্রামের সহিলুদ্দিন জানান, প্রতি বছর পান চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাকৃতিভাবে নদীর তীরের জমিতে বেড়ে ওঠা কাশফুল বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এ কারনে কাশফুলের চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি এ বছর এক বিঘা জমিতে কাশফুলের চাষ করেছেন। একইভাবে কাশফুলের চাষ করেছেন একই গ্রামের খোকন, মুকুল, লুৎফর রহমান ও চাঁচড়া গ্রামের সলেমান হোসেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ কৃষি অফিস জানায়, কাশফুলের আবাদের চিন্তা তারা কখনও করেনি। তবে অল্প খরচেই বেশি লাভবান হওয়া যায়। কাশফুল চাষের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে। এতে একদিকে কৃষকরা কাশফুল চাষ করে লাভবান হবেন। অপরদিকে কোন জমি অকারণে পড়ে থাকবে না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ