Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তফসিল নয় পেছানো হতে পারে ভোট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে সব রাজনৈতিক দল একমত হলে ভোট প্রদানের তারিখ পেছানো হবে। বিভিন্ন কারনে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া দরকার।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে পরিচালক ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে। কিন্তু তফসিল পেছানের সুযোগ নেই। নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের যেন ‘বিনা কারণে’ মামলা দেওয়া না হয়, সে নির্দেশনা ইসির তরফ থেকে দেওয়া আছে। নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে সিইসি তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ভোটারদের ভোটের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য ইভিএমের বিকল্প নেই। ব্যালটে পেপারে নানা অসুবিধা রয়েছে। সেগুলো এড়িয়ে চলার জন্য ইভিএম চালু করা হবে। ইভিএমে ভোট কারচুপি করার সুযোগ নেই। সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে আগে আইনি জটিলতা ছিল। সেগুলো এখন কাটিয়ে উঠেছি। প্রেসিডেন্ট অধ্যাদেশ জারি করেছেন। নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে প্রধান করে ইভিএম কমিটি করা হয়েছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রাথমিকভাবে শহর অঞ্চলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এ সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হবে।
নূরুল হুদা বলেন,এর মধ্যে যদি সকল রাজনৈতিক দল বলে কয়েকদিন পিছিয়ে দেন- তখন আমরা পিছিয়ে দেব। ডিসেম্বরের শেষভাগে একাদশ জাতীয় নির্বাচন করতে আগামী ৮ নভেম্ব জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে সিইসির। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে আসা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রয়োজনে তফসিল পিছিয়ে দিয়ে তাদের দাবি পূরণের কথা বলে আসছে। নূরুল হুদা বলেন, জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা হয়। আমি যতদূর জানি, দুই দফায় এ কারণে ১৫ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ, র্যাব নিয়োগ করা হয়। ১ তারিখের পর থেকে স্কুলগুলো খোলা থাকে। এ ছাড়া এ সময় অনেক শীত ও কুয়াশা থাকে। এ জন্য চর ও হাওড় অঞ্চলে ঝুঁকি থাকে।এ সব কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া দরকার।
নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টদের তালিকা নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা চিহ্নিত হয়ে যাবেন এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে যে আশঙ্কা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ঠিক না। তারা যদি প্রশিক্ষণ নিতে না চায়, তাহলে নিবে না। এটা তাদের ইচ্ছা। তাদের সন্দেহ থাকলে তারা পাঠাবে না। নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের যেন ‘বিনা কারণে’ মামলা দেওয়া না হয়, সে নির্দেশনা ইসির তরফ থেকে দেওয়া আছে।
৫ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে । বৈঠকের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের জানান, সংলাপ শেষ না হওয়া এবং এর ফলাফল না জানানো পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা না করতে ইসিকে বলা হয়েছে।



 

Show all comments
  • Kamal ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:০৪ এএম says : 0
    C e c nirbason porisalok matro.tofsil gusona korbe titio pokko.onno karo nak golano tik na.ata gonotontrer poti onnae hostokkep .এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ