পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আবার ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনীকে আরো আধুনিক শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হবে। সশস্ত্র বাহিনী যেনো বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। গতকাল সোমবার খিলক্ষেতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ মুজিব’-এর কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খিলক্ষেতে নৌ বাহিনীর ঘাঁটির কমিশনিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি ঢাকা অঞ্চলে প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৌ ঘাঁটি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম অঞ্চলে নৌ বাহিনীর জন্য ২২টি বহুতল ভবন উদ্বোধন করেন। এছাড়া সাভারে বিএন টাউনশিপের ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে নৌবাহিনীর জন্য প্রথম আধুনিক ফ্রিগেট কিনেছিলাম। নৌবাহিনীকে আরো উন্নত কীভাবে করা যায় তার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছিলাম এবং নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও আমাদের ছিল। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৮, আমি বলব এর মধ্যে নৌবাহিনী আজকে আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই নৌবাহিনীকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যদি আমরা আবার ক্ষমতায় আসতে পারি, নিশ্চয়ই আমরা নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলব, সে লক্ষ্য আমাদের রয়েছে। বানৌজা শেখ মুজিব ঢাকা অঞ্চলের নৌ নিরাপত্তার পাশাপাশি দুর্যোগে মানুষের কল্যাণ ও দুর্ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতায় ভূমিকা রাখবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল। ঢাকা নৌ অঞ্চলে নৌ সদর দপ্তরে একটি ছোট ঘাঁটি ছাড়া আর কোনো ঘাঁটি এর আগে ছিল না। তিনি বলেন, আমরা চাই, যারা আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য কাজ করবে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী, তারা এবং তাদের পরিবারবর্গ সুন্দরভাবে বসবাস করবে। সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করবে এবং আন্তরিকতার সাথে দেশের জন্য কাজ করবে। সে লক্ষ্য নিয়ে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। একদিকে যেমন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করছি, অর্থনৈতিকভাবে দেশকে মজবুত করছি। অপরদিকে আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক এই বাহিনীগুলিকে আধুনিক করা এবং যাতে বিশ্বে একটা মর্যাদা নিয়ে চলতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের উপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে। তাই তিনি সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষা নীতি তৈরি করে দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যের কথাও তিনি অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী সকালে বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটিতে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী বানৌজা শেখ মুজিবের কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন ঘাঁটির কমান্ডারকে। পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলের নৌ কমান্ডার, কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন ঐতিহাসিক অর্জন নিয়ে লেখা ‘বাংলাদেশ নেভি ইন দ্যা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এ অনুষ্ঠানে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ‘বানৌজা শেখ মুজিব’-ই হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দেশের প্রথম কোনো নৌ ঘাঁটি। এ নৌ ঘাঁটিতে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও নৌ বাহিনীর বিভিন্ন অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনায় উন্নত তথ্য প্রযুক্তি কর্মসূচি, নেভাল ইন্টেলিজেন্স গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ এবং দুর্যোগের সময় হেলিকপ্টারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।