Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কওমি মাদ্রাসার মাধ্যমেই মুসলমানরা শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে -প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৪৪ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কওমি মাদ্রাসার মাধ্যমেই মুসলমানরা শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে হবে।

রোববার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেওয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানানোর আগে তাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেন কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র সদস্য মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।

পরে বক্তৃতা শুরু করেই মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আলেম-ওলামাদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা সংযুক্ত হলেই একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ হয়। আর কেউ যেন কওমি স্বীকৃতি বাতিল করতে না পারে সেজন্য এই আইন (স্নাতকোত্তর স্বীকৃতি) করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইসলামী সংস্কৃতির বিস্তারের জন্য দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচারে লিপ্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচারে বিশ্বাস করবেন না। সরকার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’র ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • Md Rahat Mahmud ৪ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:০২ পিএম says : 5
    তাদের সাথে এত মাখামাখির কি দরকার? তারা নির্বাচন এলে জনগনের পা ধরতে ইতস্ত করেনা।আবার নির্বাচন শেষে ঐ একই হাতদিয়ে জনগনের ঘার ধরতেও তারা দুইবার ভাবেনা। এটাতো নতুন কোন ইতিহাস না। তারপরও.........কেন? হুজুর কি শাপলার চত্বরের কথা ভূলে গেছেন? "কোটা সংস্কার আন্দোলন", "নিরাপদ সড়ক চাই"আন্দোলন সবকিছু মনথেকে মুছে ফেলেছেন? #জানি বড়রা না বুঝে কিছু করেনা।তাদের সমালোচনা করা উচিৎ না। তবুও জানতে ইচ্ছে করে.......
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:০৪ এএম says : 0
    এই সংবাদটা পাঠ করে আমার খুবই ভাল লাগছে কারন ইসলামিক দিক থেকে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ইমানদার মোসলমান ও প্রকৃত মানে ইমানদার মোসলমানদের নেত্রী হিসাবে বলে আসছি কয়েক বছর ধরে এই ইসলাম ভিত্তিক পত্রিকা ইনকিলাবের মাধ্যমে। আজ বাংলাদেশের সর্ববৃহতর ইসলামিক সংগঠন নেত্রী হাসিনাকে ইসলামী পদবীতে ভূষীত করেছেন সেটা হচ্ছে ‘কওমি জননী’। আমি (একজন ইমানদার মোসলমান দাবীদার) আজ থেকে এই পদবীতেই নেত্রী হাসিনাকে সম্বধোন করবো ইনশ’আল্লাহ। আজকে আমাকে আরো আনন্দিত করেছে কারন কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল’ কওমি জননীকে ভোট দেয়ার কথা জানিয়েছেন সাথে সাথে বলেছেন শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তারা দেখতে চায়। এটা কওমি জননীর কতবড় সাফল্য সেটা আমরা বুঝতে পেরেছি এবং খুবই আন্দিত হয়েছি’। বাংলাদেশে ৯০% নাগরিক মোসলমান আর সেই মোসলমানদের বৃহত্তর দল নেত্রী হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছে এটা আওয়ামী লীগের জন্যে কতবড় বিজয় সেটা বুঝতে হবে। এই জয়কে ধরে রাখতে হবে তাই কওমি জননীকে তার নিয়ন্ত্রিত দল আওয়ামী লীগকে এখন প্রকৃত ইসলামি নিয়ম অনুযায়ি মানে দলকে নবী করীম (সাঃ) যেভাবে সকল ধর্মের লোকদের নিয়ে দেশ শাসন করেছেন সেই ভাবে দেশ ও দলকে নিয়ন্ত্রন করবেন ইনশ’আল্লাহ এটাই আমাদের চাওয়া। কওমি জননী শেখ হাসিনা আজ থেকে বৈধ ভাবে একজন ইসলামিক নেত্রী হিসাবে পথ চলা শুরু করলেন এটাই সত্য। তিনি এখন যে গুরুদায়ীত্ব পেলেন সেটাকে রক্ষা করার দায়িত্ব ওনারই এবং ওনার পাশে থাকার দায়িত্ব আমাদের। কাজেই আমাদের অনুরোধ থাকবে কওমি জননীর প্রতি তাকে দেয়া এই মূল্যবান পদের মর্যাদা অবশ্যই তিনি রাখবেন এবং তিনি তার প্রতিটি কাজে কর্মে এবং ব্যাক্তি জীবনে ইসলামকে যেভাবে পরিস্ফুটিত করে চলেছেন সেটাকে আরো মজবুত করবেন ইনশ’আল্লাহ। এখানে একটা কথা না বললেই নয় সেটা হচ্ছে আল্লাহ্‌ বলেছেন ‘ঘাট অঘাট হয় আবার অঘাটও ঘাট হয়’। আল্লাহ্‌র এই কথাটা কওমি জননী স্মরণ রাখলে ইনশ’আল্লাহ তিনি আবার আমাদের অভিভাবক হয়ে আমাদের মঙ্গলের জন্যে কাজ করে যেতে পারবেন। আল্লাহ্‌ কওমি জননী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘজীবি ও সুসাস্থ দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ