পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719535599](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কওমি মাদ্রসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের সমমান দেওয়ায় আজ রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানিয়ে শোকরানা মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে এ মাহফিলে সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক মাদ্রসার ছাত্র-শিক্ষক যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মাননা জানিয়ে ক্রেস্ট দেওয়া হবে। একইসঙ্গে দেওয়া হবে আহমদ শফীকেও। এছাড়া বেশ কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হবে এ অনুষ্ঠান থেকে।
জানা গেছে, এ শোকরানা মাহফিল সফলের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হাইআতুল উলয়াভুক্ত ছয়টি বোর্ডের শিক্ষক-ছাত্র ছাড়াও আলেমগণ এ মাহফিলে যোগ দেবেন। এ মাহফিলে যোগ দিতে চট্টগ্রাম থেকে এরই মধ্যে ঢাকায় এসেছেন আহমদ শফী।
শোকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে মঞ্চে হাইআতুল উলয়াভুক্ত ছয়টি বোর্ডের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সরকারের প্রভাবমুক্ত রেখে স্বীকৃতি পাওয়ায় শাহ আহমদ শফীকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। দোয়া করা হবে।
গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাহফিলের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। শোকরানা মাহফিলে দশ লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কওমি মাদ্রসার জন্য নজীরবিহীন একটি কাজ করেছেন। যা ইতোপূর্বে কেউই করেনি। আমরা তাকে শুকরিয়া জানাতেই একত্র হবো।’
শুকরানা মাহফিলে বেশি কিছু দাবিও তুলে ধরা হবে। দাবিগুলো নিয়ে বৈঠকও করেছে হাইআতুল উলয়া’র শোকরানা মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা, ইসলামবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করা এবং আলেম, ইমাম ও ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানির মামলা প্রত্যাহার করা। বিশেষ করে হেফাজতের ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইআতুল উলয়ার একাধিক নেতা।
বেফাক মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, ‘শোকরানা মাহফিলের প্রস্তুতি সম্পন্ন। ঢাকায় এসেছেন আল্লামা আহমদ শফী। আমরা আশা করছি লক্ষাধিক লোক সমাগম হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ‘কওমি মাদ্রসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ পাস হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।