পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির পক্ষ থেকে আসা সংলাপের দাবি অগ্রাহ্য করে আসার মধ্যেই সংলাপের দিন তারিখ নির্ধারণ হবার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের পার্টি প্রধান বলেছেন, আমি তো কারো আন্দোলনের মুখে, বা কারো চাপের মুখে সংলাপে বসতে যাচ্ছি না। এটাতো এমন হয়নি দেশে একটি প্রতিবাদের ঝড় বা দেশে একটি আন্দোলনমুখর অবস্থা করছে যে সেই অবস্থায় সরকার নতি শিকার করে সংলাপে বসছে। বিষয়টা এমন নয়। তিনি বলেন, বিষয়টা হচ্ছে ড. কামাল হোসেন সাহেব ঐকফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন। শেখ হাসিনাও বলেছেন কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তার জন্য দরজা খোলা আছে। তাই আলোচনা হবে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ বিষয়ে গতকাল (সোমবার) কেবিনেটের অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, ‘কেউ যদি আমার সঙ্গে দেখা করতে চান, শেখ হাসিনার দরজা তো কারো জন্য বন্ধ নয়। আমার দরজা খোলা আছে। দেখা করতে চেয়ে যেহেতু চিঠি দিয়েছেন, ফলে আমি দেখা করব।’ বিষয়টি এমন। এটা আসলে কারও চাপের কাছে নয়।
তিনি আরো বলেন, ‘এ সংলাপ সরকারের সঙ্গে নয় এ সংলাপ আওয়ামী লীগের সঙ্গে। এ সংলাপ আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে। আলোচনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি নেতৃত্ব দেবেন। তারাও চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলাপ করতে। এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।’
সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কতজন থাকবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা কতজন আসেন লিস্টটা দেখি। তারপর আমাদের কারা থাকবেন সেটা আমরা পরে ঠিক করব। আলোচনার বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সঙ্গে গতরাতে ফোনে আলাপ করেছি। কিছু পত্রিকা লিখেছে আলোচনার জন্য আমি নাকি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছি, এটা সঠিক নয়। আমি এমন কিছু বলিনি, আমি মোস্তফা সাহেবকে বলেছি আপনারা আলোচনায় কতজন আসতে চান। তিনি আমাকে বলেছেন তারা ১৫ জন আসতে চান। আমি বলেছি ১৫ জন কেন, ২০-২৫ জনও আসতে পারেন। কাদের আরো বলেন, আবার কোন কোন কাগজে লিখেছে আমি নাকি খাবারের মেনু নিয়ে আলোচনা করেছি। এসব হালকা বিষয়গুলো এভয়েট করা উচিত গণমাধ্যমের। আলোচনার বিষয়টি একটি সিরিয়াস বিষয়, সেখানে এভাবে হালকা বিষয়গুলো তুলে ধরা ঠিক নয়। তবে সংলাপের পর ডিনারের (রাতের খাবার) ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, খোলামেলা পরিবেশে আলাপ আলোচনা হবে, তা না হলে তো আমরা ডিনারের ব্যবস্থা করতাম না।
ঐক্যফ্রন্টের জামায়াতের কোনো নেতার উপস্থিতি থাকলে সেটাকে কোন দৃষ্টিতে দেখবেন- এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ড. কামাল হোসেন তো কিছুদিন আগে বলেছেন যে, জামায়াতের সঙ্গে আমি নেই। তিনি কী করেন দেখি। এখানে নিবন্ধনের বাইরে বোধ হয় কারো আসার সুযোগ নেই।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যেরও নিবন্ধন নেই। সংলাপে তার উপস্থিতির সম্ভাবনা আছে কিনা-জানতে চাইলে কাদের বলেন, সেটা ড. কামাল হোসেন সাহেবের উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ জন্যই বলেছি ২০/২৫ জনও আসতে পারেন তারা।
ফ্রন্টের দাবি মেনে নেয়া হবে কি না- জানতে চাইলে জবাব আসে, দাবি-দাওয়াগুলো এখন টেবিলে আসবে। সেখানেই আলোচনা হবে। চিঠির সঙ্গে তারা ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সংযুক্ত করেছেন। কাজেই এটাকে আমার নাকচ করার সুযোগ নেই। ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও অন্য দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবেন কি না-এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, এখন সংলাপের কোনো সুযোগ নেই। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সিডিউল ঘোষণা করলে কীভাবে করব বলেন? #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।