পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ নিশ্চয়ই নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। কারণ যে কাজগুলো শুরু করেছি সে কাজগুলো সমাপ্ত করতে হবে। না হলে কমিউনিটি সেন্টারের মতো সব উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। তবে আগামীতে নির্বাচিত না হতে পারলেও আসবো, যেসব উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করলাম তা দেখার জন্য।
গতকাল রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শেরেবাংলা নগরে কয়েকটি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই হাসপাতালে উন্নত ও সুন্দর চিকিৎসা হয়। পৃথিবীর কোনো দেশের ডাক্তাররা এত সুন্দর চিকিৎসা করতে পারবেন না।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সদ্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতে হবে। তখন পয়সার খুব সংকট। তারপরও মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোভাবে চিকিৎসা দেয়ার জন্য পাঁচজন ডাক্তারকে বিদেশে পাঠিয়ে ট্রেনিং দিয়ে এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অর্থনৈতিক যে ভঙ্গুর দশায় ছিল এখন আর তা নেই। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। দেশে প্রথম আমরাই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটে আরও তিনটি মেডিকল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। তিনি বলেন, উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য আমরা প্রয়োজনে ডাক্তার ও নার্সদের বিদেশ থেকে ট্রেনিং দিয়ে নিয়ে আসবো।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন আর না খেয়ে থাকে না। দেশে এখন আর মঙ্গা হয় না। যে সব এলাকায় মঙ্গা হতো সে সব এলাকায় এখন শুধু সবুজ আর সবুজ। মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে। ভালো খাবার ভালো স্বাস্থ্য নিশ্চিত হলে মানুষের আয়ু বাড়ে। দেশের মানুষের জীবন ধারা উন্নয়ন হচ্ছে। রাজধানীর উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম হিসেব করে রাজধানীতে হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হাসপাতাল ভবন; মিরপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজের ২৪৮ আসনবিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেল (১০ তলা ভিত বিশিষ্ট ৯ তলা ভবন); মহাখালীতে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি’র সম্প্রসারিত (৯ তলা ভিত বিশিষ্ট) তিন তলা ভবন উদ্বোধন এবং এক্সপানশন অব ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটাল; স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় মহাখালী, ঢাকা’র ৩য় পর্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ (৬-১৫ তলা নির্মাণ) ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের উত্তর ও দক্ষিণ ব্লকের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।