‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকছেই গত কিছুদিন ধরে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পুরো সপ্তাহজুড়ে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁও টেক্সটাইল ছিল পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দের শীর্ষে। অন্যদিকে আগ্রহ হারানোর তালিকায় সবার উপড়ে ছিল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)-তে সোনারগাঁও টেক্সটাইল-এর শেয়ার মূল্যে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে।
শেয়ার মূল্য বড় ধরনের উত্থান হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে চাননি। ফলে সপ্তাহজুড়ে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৩ লাখ টাকা। এদিকে সপ্তাহজুড়ে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার দাম। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১৫ টাকা ৪০ পয়সা। নর্দান জুটের পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল ‘জেড’ গ্রæপের আরেক প্রতিষ্ঠান নর্দান জুট। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে অ্যাডভেন্ট ফার্মা। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা এমএল ডাইংয়ের ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ, লিগাসি ফুটওয়্যারের ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, স্টাইল ক্রাফ্টের ৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ, দি পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের ৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ দাম বেড়েছে। এদিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করা ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর শেয়ারের দাম সপ্তাহজুড়েই কমেছে। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন ঘটে। সপ্তাহজুড়ে মাত্র ৪১ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। এর ফলে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা।ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এই কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫১ দশমিক ২৬ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এদিকে গত সপ্তাহে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের পরেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষে ছিল বিডি অটোকার।