পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিতে সমাবেশে উপস্থিত জনতার ওয়াদা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। নৌকা হচ্ছে উন্নয়নে মার্কা। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একমাত্র আওয়ামী লীগই কাজ করছে। আপনারা ওয়াদা করেন আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিবেন। প্রার্থী যেই হোক আপনারা নৌকায় ভোট দিবেন। গতকাল বিকেলে বরগুনার তালতলীতে সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এর আগে দুপূরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের আওতায় “স্বপ্নের ঠিকানা” পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
বরগুনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, আমাদের দেশের মানুষ সুখী সমৃদ্ধশালী হয়ে জীবন যাপন করবে। বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলবে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে আমরা যে সম্মান পেয়েছিলাম। ৭৫’এ জাতির পিতাকে হত্যা করে সে সম্মান হারিয়ে গিয়েছিল। আজকে আবার আমরা দেশের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আবার বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান আমরা ফিরে পেয়েছি। সেই সম্মান ধরে রাখতে হবে। তাই আরেকটি বার আওয়ামী লীগকে আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদেরকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী বরগুনাসহ দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলেন, আমরা দুই বোন বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর বিদেশে ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। অনেক প্রতিকূলতার অবস্থার মধ্য দিয়ে দেশে ফিরে আসি। তারপর সারাদেশ ঘুরেছি। দেখেছি আমার দেশের মানুষের অবস্থা। পেটে খাবার নাই। পরণে ছিন্ন কাপড়। বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে কাপড় পড়তে দেয়। কারো ঘর নেই। ঘর দিয়ে চাল দিয়ে পানি পড়ে। এমন দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে দেশে দেখেছি। তিনি বলেন, আমার বাবা এদেশ স্বাধীন করেছেন। এই দেশের মানুষ ভাল থাকবে সুন্দর থাকবে। সেটা আমার বাবার জীবনের আকাঙ্খা। সেই জন্য আমি আমার নিজেকে উৎসর্গ করেছি। বাংলার মানুষের জন্য। বাংলারমানুষের ভাগ্য পরিবর্তণ করা। বাংলার মানুষকে সুখী সমৃদ্ধ জীবন দেওয়া। বাংলার মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া এটাই আমার লক্ষ্য। বারবার মৃত্যুও মুখোমুখি হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট ওই খালেদা জিয়া এবংতার ছেলে তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গিয়েছি। আইভী রহমানসহ আমাদের ২২জন নেতাকর্মী হারিয়েছি এবং এটা একবার নয় কয়েকবার। ওরা কি করেছে, বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের দেশ করেছে। পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদেও লেখাপড়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছিল। দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, তার একটাই কারণ। তারা তো স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না। মানুষের উন্নতিতে বিশ্বাস করে না। এতিমের টাকা সেই টাকাও এতিমদের না দিয়ে নিজের নামে রেখে চুরি করেছে। আর সেই এতিমের চুরির দায়ে মামলা হয়েছে। আর সেই মামলায় আজকে খালেদা জিয়া জেলে সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের টাকা চুরি করলে আল্লাহও শাস্তি পায়। আর সেই শাস্তি এখন ভোগ করছে।
তিনি আরো বলেন, তার (খালেদা জিয়া) পুত্র মানি লন্ডারিং করেছে। বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার করতে যেয়ে ধরা পড়েছে এবং ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ যত রকম রকমের অপকর্ম করে আজকে সাজাপ্রাপ্ত। এরা যখনি ক্ষমতায় এসেছে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। আমি কমিউিনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি। বিনা পয়সায় ৩০ প্রকার ঔষধ পান আপনারা। কোন মানুষ গৃহহারা থাকবে না। প্রত্যেককে আমরা ঘর করে দেবো। প্রত্যেক মানুষ যেন বাসস্থান পায়। সুন্দরভাবে বাঁচে এই ব্যবস্থা করে দেবো।
আওয়ামী লী সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই, আমাদেও দেশের মানুষ সুখী সমৃদ্ধশালী হয়ে জীবন যাপন করবে। বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলবে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জণ করে যেসম্মান আমরা পেয়েছিলাম। ৭৫’এ জাতির পিতাকে হত্যা করে সে সম্মান হারিয়ে গিয়েছিল। আজকে আমরা আবার আমার দেশের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আজ আবার আমরা বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে যে সম্মান আমরা পেয়েছি। সেই সম্মান ধরে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীবাদ ও মাদক নির্মূল করার জন্য সরকার নিরালস কাজ করে যাচ্ছে। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সনদের ব্যবস্থা করা হয়েছে, ৫৬০টি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, যুবকদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনাসুদে ঋণ দেয়া হচ্ছে, বর্গা চাষীদের বিনাসুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থাসহ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দ্রুত দুর্যোগের আগাম খবর পাওয়া যাবে। তার জন্য আপনাদের কাছে চাই, আরেকটি বার আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন, আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদেরকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন। আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই, যাকেই নৌকা মার্কা দিয়ে পাঠাবো আপনারা তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। হাত তুলে আপনারা প্রতিজ্ঞা করেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। বরগুনাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞা জানানোর পাশাপাশি নিজেরজন্য দোয়া কামনা প্রার্থনা কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদেও মাঝেই আমি ফিরে পাই আমার হারানো বাবার স্থেহ, মায়ের স্নেহ ভাইয়ের স্নেহ।
তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজবি-উল-কবির জমাদ্দারের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, তালুকদার মো: ইউনুচ এমপি, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাবেক ছাত্র নেতা শাহে আলম, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু এমপি, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ফজলুল হক জোমাদ্দার প্রমুখ।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের চিত্র বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এই অঞ্চলের মানুষ ভাগ্যবান। পায়রা বন্দর হবে দক্ষিণাঞ্চলের শ্রেষ্ট সম্পদ। আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তি শালী করার আহবান জানান। তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই আন্দোলন করতে পারে না ১০ বছরে ২০টি ঈদ গেছে আন্দোলন হয় নাই। বিএনপি এখন ভূয়া পার্টিতে পরিনত হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, তালতলীতে জাহাজ নির্মান ও জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পায়নের কার্যক্রম চলছে। এ অঞ্চলে রাস্তা ঘাট, পর্যটন, কালভার্টসহ শিল্পাঅঞ্চলে পরিনত করা হবে। তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, দক্ষিণাঞলের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বরগুনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, বামনা ও বেতাগী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বরগুনা জেলা গ্রন্ত্রাগার, বরগুনা জেলা পুলিশ লাইনে মহিলা ব্যারাক নির্মাণ, বেশ কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ ২১টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
অবহেলিত দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে
পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিনাঞ্চল সবসময় অবহেলিত ছিল, এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্হানের লক্ষে এ অঞ্চলকে ঘিরে মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, নৌ বাহিনীর ঘাটি হ”েছ,সেনাবাহিনী,বিমানবাহিনীর ঘাটি হবে,আরেকটি পরমানু বিদুৎ কেন্দ্র তৈরীর লক্ষে কাজ চলছে,সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগাতে ব্ল ইকোনমি পরিকল্পনা ঘোষনা করেছি,নদী গুলি ড্রেজিং করা হবে, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রনয়ন করেছি ।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ৭৫’র পর ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী উপদেষ্টা এমনকি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বানিয়েছিলেন। তারাই ক্ষমতায় ছিল। সেই পরিবেশে শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে আমি দেশ ফিরে সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি। আপনাদের এইসব এলাকাও ঘুরেছি। এই দক্ষিন অঞ্চলটা সবসময় অবহেলিত ছিল। অথচ এখানে যে বিশাল সম্ভাবনা ছিল ক্ষমতা দখলকরীরা কখনোই তা দেখেনি। ৯৬ সাল থেকে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমারা শুরু করেছি এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদুৎ ব্যবহার উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০ হাজার মেগাওয়াটে বিদুৎ বৃদ্ধি করেছি। প্রতিটা ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেব, গড়ে উঠবে অনেক কলকারখানা। উন্নয়ন করতে গিয়ে কোন মানুষ যেন কষ্ট না পায় সে দিকে লক্ষ রেখেই জমির তিনগুন দাম দিয়েছি। ইতিমধ্যেই ১৩০টি পরিবারকে ঘর করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুদামুক্ত দারিদ্রমুক্ত দেশ, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষ পালন করবো, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পালন করা হবে স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী ,২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষনা দিয়েছি।এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুদামুক্ত ,দারিদ্রমুক্ত দেশ, বাংলাদেশের কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না, প্রতিটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, গৃহহারা হবে না,সারা বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির মধ্যে চলে এসেছে।আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন “স্বপ্নের ঠিকানা” পুনর্বাসন কেন্দ্রে আমরা যে বাড়ীঘর তৈরী করে দিয়েছি আমি আশা করি এতে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। বিদুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হলে তারা সহ তাদের ছেলে মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনাসহ পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকার ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টি ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন। এর আগে তিনি দুপূর সাড়ে ১২ টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হ্যলিপ্যাডে এসে পৌছান, প্রথমে তিনি স্বপ্নের ঠিকানার পুকূরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন ,পরে তিনি স্বপ্নের ঠিকানা” পুনর্বাসন কেন্দ্রের ঘর পরিদর্শন শেষে সভাস্থলে আসেন। প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী বক্তব্য প্রদান কালে তিনি দক্ষিনাঞ্চলের ভবিষৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা সহ সহ বঙ্গবন্ধুর সোনা বাংলা গড়ার ভবিষৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন, বক্তব্যের শেষে আগামীতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে নৌকা মার্কায় ভোট চান।পরে তিনি পূর্নবাসিতদের মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।
দক্ষিনাঞ্চলে নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে নৌকায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি যান্ত্রিকিকরন করব। এখানে এলমজি টার্মিনাল করে দিব। নৌ ঘাটি নির্মান করছি। সেনানিবাস তৈরী করে দি”িছ। বিমান বাহিনীর একটি ঘাটি তৈরী করে দিচ্ছি। পরমানু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করার জন্য একটা দ্বীপ খুঁজছি।
সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, চিপহুইপ আসম ফিরোজ এমপি, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ উপদেষ্টা ড. তৌফিক এলাহি চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দিপু প্রমূখ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।