পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে নিয়ে যাবে, ছেলেমেয়েরা সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত হবে। আজকের যারা শিশু আগামী দিনে তারাই তো দেশ চালাবে। আজকের শিশুরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরণ করবে।
গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গণভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই শিশুদের মধ্যে থেকেই কেউ না কেউ আমার মতো প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে, বড় ব্যবসায়ী হবে, বড় বড় চাকরি করবে, দেশ চালাবে। শিক্ষা ক্ষেত্রকে সুবিস্কৃত করতে সমগ্র বাংলাদেশে যেখানে স্কুল নাই সেখানে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে সরকারি কলেজ ও স্কুল নাই সেখানে সরকারি কলেজ ও স্কুল করে দিচ্ছি। তিনশোর কাছাকাছি কলেজ ও ২৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল আমরা সরকারিকরণ করে দিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করতে। আমি মনে করি, খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক চর্চা, এগুলো আমাদের ছেলেমেয়েদের সুন্দর জীবন গড়ার সুযোগ করে দেবে। জীবনকে সুন্দরভাবে দেখার সুযোগ করে দেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনশর কাছাকাছি কলেজ আমরা সরকারিকরণ করে দিয়েছি, এভাবে আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি বলেন, সকল শিশু আগামী দিনে আমাদের ভবিষ্যত। আমি চাই, জাতির পিতা যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমাদের এই ছেলে- মেয়েরাই সেই স্বপ্নপূরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো পরিবারের শিশুরা যেন লেখাপড়া করতে পারে সে জন্য সরকার সব প্রকার সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। বিমামূল্যে বই। গরিব ও মেধাবীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের মায়ের নামে অ্যাকাউন্ট করে তাদের বৃত্তির টাকা প্রেরণ। দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো। আমরা ব্যাপক উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছি। দেশের উন্নয়ন যখন হবে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে পারব।
চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান। ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।