পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী শনিবার লালদীঘি ময়দানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় মহাসমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক সাড়া জেগেছে। মামলা-হুলিয়া আর পুলিশি অভিযানের মুখে পালিয়ে থাকা নেতাকর্মী আর সমর্থকেরা মহাসমাবেশ সফল করতে এখন মাঠে। নেতারা গণসংযোগ করছেন, মিলিত হচ্ছেন প্রস্তুতি সভায়। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, মহাসমাবেশকে ঘিরে ধরপাকড় আর বাড়িঘরে তল্লাশি অভিযান আরও জোরদার করেছে পুলিশ। নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে ভয় আতঙ্ক ছড়ানোর সরকারের এ অপচেষ্টা বুমেরাং হবে জানিয়ে তারা বলছেন, সিলেটের সফল জনসভার পর চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতাকর্মীরা আরও উজ্জীবিত। মামলা-হুলিয়া, গ্রেফতার আতঙ্ক উপেক্ষা করে যেকোন মূল্যে লালদীঘির জনসভা সফল করা হবে বলে জানান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
আগামী ২৭ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে জনসভার অনুমতি চাওয়া হয়। মাঠের মালিক মুসলিম হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত অনুমতি দেয়া হয়নি। লালদীঘি ময়দানে জনসভার অনুমতি দেয়া হবে এ প্রত্যাশা নিয়ে অনেক আগেই মাঠে নেমেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে প্রস্তুতি সভার পর জেলা-উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে চলছে প্রস্তুতি সভা। গতকালও ঐক্যফ্রন্টের মহানগর ও জেলা নেতারা জনসভার প্রস্তুতির অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও প্রস্তুতি সভায় মিলিত হন। নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, লালদীঘির জনসভাকে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জনসমুদ্রে পরিণত করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। মঙ্গলবার রাতেও পুলিশ নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে ১২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, মহানগরী এবং জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী এমনকি সমর্থকদের বাড়িতেও পুলিশ হানা দিচ্ছে। পুলিশি অভিযানের মুখে নেতাকর্মীরা বাড়িঘর ছাড়া হলেও জনসভা সফল করতে তারা মরিয়া। তিনি বলেন, শেষ সময়ে এসে সরকার মরণ কামড় দিচ্ছে। তবে এতে কোন লাভ হবে না। জনগণ রাজপথে নেমে তাদের ভোটের অধিকার আদায় করবে। তিনি আশা করেন, খুব শিগগির পুলিশ জনসভার অনুমতি দেবে এবং লালদীঘি ময়দানে মঞ্চ নির্মাণ প্রস্তুতি কার্যক্রম শুরু হবে।
১২ নেতা গ্রেফতার
নগরীর একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিএনপির সাত নেতাসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ‘সরকার উৎখাতের’ জন্য নাশকতার পরিকল্পনা করতে বৈঠক করার অভিযোগ আনা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার রেয়াজুদ্দিন বাজারে সাফিনা হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, মীরসরাই থেকে এসে কয়েকজন নেতা হোটেলে নাশকতামূলক কার্যকলাপের পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছি। তারা হলেন- মীরসরাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী (৫০), আব্দুর রহিম (৪৮) ও মঞ্জুরুল হক (৫৩), চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী (৬০), মীরসরাই পৌরসভা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. মহিউদ্দিন (৪৮), মীরসরাইয়ের মায়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মঈনউদ্দিন (৪৩) ও মোঃ মাসুম (২৫) এবং পাঁচ বিএনপি কর্মী হলেন- নুর নবী (৪১), নাজিম উদ্দিন (২৮), ওমর ফারুক বাবলু (২৮), জাফর ইকবাল (৪০) ও মনোয়ার হোসেন শাওন। তবে জেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, সেখানে কোন গোপন বৈঠক হয়নি। এর আগে গত সোমবার গ্রেফতার করা হয় বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাববুর রহমান শামীম ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করকে। রোববার নতুন করে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ১৫০ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। বেশিরভাগ নেতা এখন গা-ঢাকা দিয়েছেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে খুব শিগগির তারা প্রকাশ্যে আসবেন বলে জানা গেছে। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করছেন, কোন ঘটনা ছাড়াই পুলিশ গায়েবি মামলা দিচ্ছে। যদিও এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করছে পুলিশ।
যে কোন মূল্যে জনসভা সফল করা হবে
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়ে ও আরেকটি এক তরফা নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এখন পেছনে তাকানো যাবে না। সামনের দিকে এগোতে হবে। কোন বাধা আন্দোলন ঠেকাতে পারবে না। ২৭ অক্টোবর লালদীঘি ময়দানে মহাসমাবেশ হবে। তিনি গতকাল কোর্ট চত্বরে চট্টগ্রাম জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশিদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বক্তব্য রাখেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা এডভোকেট জানে আলমের সভাপতিত্বে সভায় নাগরিক ঐক্য চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব মোঃ ফোরকান উদ্দিন লাহেরী, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, গণফোরাম উত্তর জেলা সভাপতি রতন চন্দ্র ব্যানার্জী, চট্টগ্রাম মহানগর গণফোরামের সহ-সভাপতি মনসুর মাহমুদ খান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চট্টগ্রাম নেতা আরিফ চৌধুরী, নুরুল আমিন, এস এম আবদুল মাবুদ, মাহমুদুল হক, ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন আলো, রঞ্জিত সিকদার, মোজাফ্ফর আহমদ, এড. আ হ ম রাসেল, অ্যাড. আবু তাহের, মো. সোহরাব হোসেন, ডা. রবিউল হোসেন, গোলাম জিলানী, সাঈদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।