পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অাগুনে পোড়া কোনো মানুষকে যেন অার বিদেশ যেতে না হয় তার ব্যবস্থা করেছি। শুধু অাগুনে পোড়া রোগী নয়, যে কোনো রোগীর চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা করছি। প্রয়োজনে ডাক্তার ও নার্সদের বিদেশ থেকে ট্রেনিং দিয়ে নিয়ে অাসবো।’
অাজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অারও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল অাজিজ অাহমেদ, শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন ও মেজর জেনারেল মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল হক খান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুটি স্মারক উপহার দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল অাজিজ অাহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী বার্ন ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, অামাদের দ্বিতীয় মেয়াদের ৫ বছর সময় প্রায় শেষ। অাগামী নির্বাচনে যদি অাবার ক্ষমতায় অাসতে পারি তাহলে বাকি কাজ শেষ করতে পারব। অার যদি ভোটে না অাসতে পারি তাহলে তাহলে বার্ন ইউনিটের মতো কর্যক্রম যেন থমকে না যায়। এর উন্নয়ন অগ্রগতি অাপনারা অব্যাহত রাখবেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস করেছি। যে কোনো স্থানে অাগুন লাগলে যাতে দ্রুত তা নিভিয়ে ফেলতে পারে, মানুষের ক্ষয়-ক্ষতি যেন না হয়। ঢাকা শহরকে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণে ভাগ করে চিকিৎসা কেন্দ্র বা হাসপাতাল গড়ে তুলছি। ডাক্তাররা যাতে এক্সপার্ট হন সেজন্য বিদেশ থেকে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাতে ১০ বছর সময় পেয়েছি পরিশ্রমও করছি। যে কারণে বাংলাদেশ অাজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী এখন সম্মানের চোখে দেখে।
আর্থ-সামাজিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল, ১০ বছর হয়ে গেল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আজ বাংলাদেশের মানুষের জীবনে সত্যিই একটা পরিবর্তন এসেছে।
উন্নত বাংলাদেশের কামনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হবে, প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম শহরে উন্নীত হবে। গ্রামের মানুষ নাগরিক সুবিধা পাবে, শহরের সুবিধা পাবে। সবদিক থেকে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে এসব উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা যাবে। গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য খাতকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পেরেছি। দেশের মানুষ উপকার পাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।