পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ২৪ অক্টোবর সিলেটে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে। ১৪ শর্তের ওপর ঐক্যফ্রন্টকে সিলেটে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ। তিনি জানান, রোববার বিকেলে মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে অনুমতির বিষয়টা নিশ্চিত করেন।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. গোলাম কিবরিয়াও সমাবেশের অনুমতি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে জাতীয় ঐক্যজোটের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন দুই দফা ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। প্রথমে ২৩ অক্টোবর সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি চায় ঐক্যজোট। ওইদিন অনুমতি না পেয়ে পরদিন একইস্থানে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। সে আবেদনও ঝুলিয়ে রাখে পুলিশ। এ অবস্থায় রোববার দুপুরে হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপি নেতা আলী আহমদ। সোমবার রিটের শুনানির তারিখ ধার্য করে আদালত। তবে তার আগেই পুলিশ সমাবেশের অনুমতি প্রদানের কথা জানায়।
যদিও রোববার সকালেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সিলেটে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিলো। অনুমতি পেয়েও এ নিয়ে তারা নাটক করেছে।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন সরকার বিরোধী এ জোট ২৪ অক্টোবর সিলেট সফরের মধ্য দিয়েই তাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করবে। ১৪ শর্তের মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে, সমাবেশে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বক্তব্য দেয়া যাবে না, সমাবেশস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক নারী-পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে, বেলা ২ টায় সমাবেশ শুরু করে ৫ টার মধ্যে শেষ করতে হবে, লাঠিসোঠাওয়ালা কোন ব্যানার ফেস্টুন সমাবেশস্থলে নেয়া যাবে না, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোন অবনতি ঘটলে এর দায় আয়োজকদের নিতে হবে, সুরমাপয়েন্ট থেকে তালতলা পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে কোন গাড়ি পার্কিং করা যাবে না, মাইক ব্যবহারে যাতে জনসাধারণের ক্ষতি না হয় সেটি খেয়াল রাখতে হবে, সমাবেশের কারণে জানমালের যাতে ক্ষতি না হয় সেসব খেয়াল রাখতে হবে।
সিলেটে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হাইকোর্টে রিট
এদিকে ঢাকা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান এর আগে সিলেটে সমাবেশ করতে না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল আদালতের অনুমতি নিয়ে এ রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণফোরাম নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিক। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ বাদী হয়ে এ রিটটি দায়ের করেছেন।
রিট আবেদনে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবেন না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। সেই সাথে সমাবেশ করতে দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে আইনজীবী জানান। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, সিলেটের বিভাগীয় পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, ২৩ অক্টোবর সমাবেশ করতে সিলেট পুলিশ কমিশনারের অনুমতি চাইলে তা নাকচ করা হয়। পরে ২৪ তারিখের জন্য চাওয়া হয়, সেটাও মৌখিকভাবে নাকচ করা হয়েছে। তাই গতকাল আদালতের অনুমতি নেয়ার পর রিটের বাদী হয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
রিটের বাদী আলী আহমেদ জানান, সভা-সমাবেশ করা প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। এটা অধিকার থেকে বঞ্চিত করায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।