পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেসরকারি খাততে সরকার উৎসাহিত করার বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মোবাইল ফোন বেসরকারি খাতে দিয়েছিলাম বলেই আজ মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন। তার সরকার ৪৪টি টেলিভিশনের লাইসেন্স দিয়েছে। তবে, এতগুলো টেলিভিশন লাইসেন্স দেয়ায় ভূক্তভোগী তারাই। কারণ এর মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করা হয়। অবশ্য এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানও হচ্ছে।
তরুণ প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিজের বর্তমানকে উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপই গ্রহণ করবো।
গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলে ‘মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি’ (এমএনপি) সেবার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। বিশ্বে ৭২তম দেশ হিসেবে এই সার্ভিস বাংলাদেশে চালু করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমার বর্তমানকে উৎসর্গ করছি তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য। আমাদের বর্তমান, আমরা তো চলেই যাচ্ছি। আমাদের বর্তমানে যতটুকু কাজ আমরা এগুতে পারি সেটা আমরা উৎসর্গ করেছি তরুণ প্রজন্মের জন্য।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার তার সরকারের উদ্যোগের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পাঁচ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছে। এতে সারাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিসের আওতায় এসেছে। এখন তার সরকার সাবমেরিন ক্যাবলের তৃতীয় সংযোগ গ্রহণেরও চিন্তা-ভাবনা করছে।
তিনি বলেন, আমাদের ব্রড ব্র্যান্ড সার্ভিসটা একেবারে উপজেলা ও গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। প্রতিটি গ্রামকে আমরা শহরে উন্নীত করছি। অথচ বিএনপি সরকারের সময়ে বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে সংযুক্ত হবার সুযোগ তারা নষ্ট করেছিল দেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবার কথা বলে।
সরকারের প্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশে ই-ফাইলিং সুবিধার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বাইরে (বিদেশে) গেলেই এখান থেকে সোজা ফাইল চলে যায়। সেখানে বসে কাজ করি। একটা কর্মঘণ্টাও আমার নষ্ট হয় না। এটা হলো বাস্তবতা এবং এখন আমরা ফাইভ-জি’র দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি’ (এমএনপি) সেবা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একটা সিম থেকে যেকোনো অপারেটরে আরেকটা সিমে নাম্বার পরিবর্তন করা বা একটা অপারেটর থেকে আরেকটা অপারেটরে যাওয়ার যে আধুনিক প্রযুক্তি যা পৃথিবীর খুব সীমিত দেশ ব্যবহার করে, আমরা সেই যুগে প্রবেশ করছি।
সরকার প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৮টি হাইটেক পার্ক করার পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। ইতোমধ্যে দুটি হয়েছে। ৩৫৫ একর জমির ওপর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি হচ্ছে। এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগ আসবে। আমরা ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানি করতে পারব। তরুণদের কর্মসংস্থানের আর অভাব হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপ থেকে ৫/৬ ঘন্টা এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০/১২ ঘন্টা সময় এগিয়ে থাকার ভৌগলিক সুযোগ নিয়ে দেশের তরুণরা ঘরে বসেই আউট সোর্সিয়ের মাধ্যমে যাতে অনেক টাকা রোজগার করতে পারে তার সুযোগ সরকার সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় কম্পিউটার যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তি সামগ্রীর ওপর শুল্ক হ্রাসে তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে দেশের উন্নয়নে কিছু ট্যাক্স প্রদান জরুরী বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় ট্যাক্স দিতে হবে। তাহলেই উন্নয়নটা ত্বরান্বিত হবে। কথায় কথায় ট্যাক্স কমানোর দাবি করলে উন্নয়ন হবে কীভাবে! এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্যাক্স দিচ্ছেন বলেই বাজেট সাত গুণ বৃদ্ধি করতে পেরেছি। সবচেয়ে বড় কথা বাইরের কাছে হাত পাততে হচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য সম্মানের। সেই সম্মানটা ধরে রাখতে চাই। আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।