পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি নিয়ে গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’র সাথে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে চায় প্রগতিশীল বাম দলের নেতারা। তারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সরাসরি জোটবদ্ধ না হয়ে আন্দোলনের মাঠে অর্থাৎ রাজপথে এক দাবিতে একত্রে থাকতে চায়। বাম প্রগতিশীল নেতাদের মতে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে ৭দফা দাবি ঘোষনা করেছে তা নিয়ে যদি আন্দোলনের মাঠে আসে তবে তারা জনসমর্থন পাবে। তাদের নির্বাচন কেন্দ্রিক দাবিগুলোর সাথে বাম প্রগতিশীল দলগুলোর দাবির মিল থাকায় এক্ষেত্রে এসব দাবিতে রাজপথে আন্দোলনের ঐক্য হতে পারে। শুধু প্রগতিশীল বাম দল নয় বিভিন্ন ইসলামী দলও ঐক্যফ্রন্টের দাবির সাথে ঐকমত্য হয়ে আন্দোলনের মাঠে থাকবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন উল্লেখ যোগ্য। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) জনসভায় দেয়া বক্তব্যে সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নেমেছে। এর মধ্যে কূটনীতিকদের সাথে তারা মতবিনিময় করেছে। সেখানে তারা তাদের সাত দফা দাবি এবং ১১টি লক্ষের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। আগামী ২৪ অক্টোবর সিলেটে মাজার জিয়ারতের পর জনসভা করার কথা রয়েছে। এরপর ২৬ অক্টোবর ঢাকায় পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় করবে। এর পর সিলেট এবং রাজশাহীতে জনসভা করার ঘোষনা দিয়েছে। এভাবে সারাদেশে জনসভা করে তাদের দাবির সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজপথের আন্দোলনে নামবে। এই আন্দোলনে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দল সবাই যুক্ত হবেন বলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মনে করছেন। এ বিষয়ে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, অনেক রাজনৈতিক দল আছে যারা তাদের এই ফ্রন্টে সরাসরি যুক্ত না হয়ে যুগপৎ আন্দোলন করবে। আবার অনেক দল তাদের এই ঐক্যফ্রন্টে সরাসরি যুক্ত হয়েও আন্দোলনে অংশ নেবেন। তাদের এই ঐক্য রাজপথে সর্ববৃহৎ ঐক্যের এক গণআন্দোলনে রূপ নেবে। এবিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক ঘোষনার সময় ড.কামাল হোসেন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উভয়ই সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে ৭দফা দাবি বিষয়ে আলোচনা করছি। আশা করছি এ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সব শ্রেনী পেশার মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলনে অংশ নেবে। আমাদের এই ঐক্য সর্ববৃহৎ গণআন্দোলনে রূপ নেবে এবং এ সরকারের পতন ঘটবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক এ বিষয়ে বলেন, অংশগ্রহণমূলক একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে জোটগতভাবে আমরা বলেছি, তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের কথা। এ সব দাবিতে আমরা রাজপথে আছি। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ৭দফা দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের দাবির সাথে আমাদের এই দাবিগুলো কমন রয়েছে। এখন এসব কমন দাবিতে তারা যদি রাজপথে আন্দোলনে নামেন তাহলে সে ক্ষেত্রে একটা আন্দোলনের ঐক্য হতেই পারে। তাদের দাবি এবং আমাদের দাবির মধ্যে যে মিল রয়েছে তাতে এক ধরনের অনানুষ্ঠানিক ঐক্য হয়ে গেছে এমনটা বলতে পারেন। আমারা এসব দাবিতে রাজপথে আছি। তারাও যদি রাজপথে নামেন তাহলে জনগণের মধ্যে একটা আস্থার তৈরী হবে এবং জনগণও রাজপথে নেমে আসবে। তাই আমরা বলছি তাদের সাথে আমাদের জোট না হলেও রাজপথে নামলে আন্দোলনের ঐক্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজপথের আন্দোলনই এই ঐক্যের গতিপথ নির্দারণ করবে।
এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক বাম জোটের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা আমাদের দাবি নিয়ে আন্দোলনের মাঠে আছি। ৭দফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের দাবির সঙ্গে তাদের কয়েকটি দাবির মিল রয়েছে। যেমন তফসিল ঘোষনার আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে এধরনের কয়েকটি দাবির সাথে মিল রয়েছে। এসব দাবি নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট যদি মাঠে নামে তাহলে রাজপথে একটা ঐক্য হতেই পারে। আমরা মনে করি রাজপথই ঐক্যের বিষয়টি নির্ধারণ করবে।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এ বিষয়ে বলেন, সকলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এটাই আমরা চাই। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে যারা আন্দোলন করবে তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে। জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের বিষয়ে এখনো কোন আলোচনা হয়নি। তবে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কাজ করে যাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।