প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : দাঁড়িতে কলপ দেয়া জায়েজ। কড়া কালো রঙ না দেয়া ভালো। কেননা, এটি মাকরূহ। উত্তম হলো মেহেন্দি দেয়া। এ ছাড়া হারবাল কালার দেয়া যায়। ব্রাউন/অ্যাশ/বøু বা মিশ্র রঙ দেয়া যায়। শর্ত হলো, রঙ যেন চুল-দাঁড়ির সাথে নিঃশেষে মিশে যায়। আলাদা আবরণ হয়ে লেগে না থাকে। চামড়া বা চুলে রঙয়ের আবরণ লেগে থাকলে অজু-গোসলে সমস্যা হতে পারে। তখন অবস্থাভেদে এটি মাকরূহে তাহরিমি থেকে নাজায়েজ পর্যন্ত হতে পারে। তাই নিখুঁত ও নির্দোষ খেজাব ব্যবহার করতে না পারলে চুল-দাড়ি সাদা রেখে দেয়াই ভালো। এ সম্পর্কিত যত হাদিস আছে- সে সবের সারসংক্ষেপ এই, নবী সা. বলেছেন, বার্ধক্য ও সাদা চুল-দাড়ি ঈমানদারের জন্য আল্লাহর নূরের মতো। এসবের বিকৃত করা চাই না। সৈনিক ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের জন্য বলা হয়েছে, তোমরা চুল-দাড়িতে খেজাব (মেহেন্দি বা নির্দোষ কলপ) ব্যবহার কর। অমুসলিমদের বিপরীত সংস্কৃতি পালন কর। এটা দুষমনদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য। যেন তারা মুসলিম হিরোদের বার্ধক্যে আনন্দ না পায়। কুচকুচে কালো খেজাব দিওনা। এতে আল্লাহর দেয়া বার্ধক্যকে অপছন্দ করা এবং তারুণ্যকে অধিক পছন্দ করার আলামত দেখা যায়। যা আখেরাতপন্থী চিন্তার সাথে সাংঘর্ষিক। এ জন্য হাদিসে এসেছে, অকারণে কুচকুচে কালো খেজাব ব্যবহারকারীর চেহারা কালো হোক। শরিয়তে তাই এটি মাকরূহ। সাহাবিদের অনেকেই খেজাব ব্যবহার করেছেন। আল্লাহর রাসূল সা. স্বীকৃতি দিয়েছেন। এ জন্য এটি সুন্নত। শরিয়তসম্মত কিছু কারণে খেজাব ব্যবহার করা অনুমোদিত। মাকরূহ পদ্ধতি বেছে চলতে হবে। কোনো কারণ না থাকলে সাদা রঙকে বরণ করাই উত্তম।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।