পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মোড়কে ভরা যৌবনে ফিরছে সিলেট বিএনপি। ফুরফুরে মেজাজে এখন সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। অনৈক্য ভেদাভেদ মুহূর্তে যেন হাওয়া হয়ে গেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মহাসমাবেশ সফল করতে ব্যাকুল হয়ে উঠছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজ উপায়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন সমাবেশের। ব্যাপক হারে পোস্ট, শেয়ার করছেন দলের নেতাকর্মীরা। শত শত মামলায় আসামি হয়ে দিশেহারা দলের নেতাকর্মীদের জন্য এই সমাবেশ হয়ে ওঠতে পারে প্রতিবাদ ও মুক্তির অব্যর্থ টনিক। তাই এই সমাবেশ ঘিরে দলের রাজনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার ঘটছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে এখন পর্যন্ত নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশের অনুমতি পায়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। অনুমতির জন্য বুধবার রাতে বিএনপির ৫ নেতা সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। মৌখিক ও লিখিতভাবে অনুমতি চেয়ে আবেদনও করা হয়েছিল। সমাবেশের বিকল্প উপায় খুঁজছেন জাতীয় ফ্রন্ট্রের স্থানীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, পুলিশ আমাদের এখনও অনুমতি দেয়নি। কেন্দ্রকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তাদের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি আমরা। তবে যেভাবেই হোক সমাবেশ করতেই হবে আমাদের। সেই উপায়ও খুঁজছি। তবে আমরা আশাবাদি প্রশাসন শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি প্রদান করবেই।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব (গণমাধ্যম) গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সমাবেশের অনুমতির জন্য পুলিশের কাছে এসেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের অনুমতি দেয়া হয়নি।
বিএনপি সূত্র জানায়, নগরীর কোর্টপয়েন্ট এবং রেজিস্ট্রারি মাঠ সমাবেশ আয়োজনের জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। তবে পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হবে এমনটিই তাদের পরিকল্পনা। এই সমাবেশে শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বিপুল লোক সমাগমের লক্ষ্য নিয়ে কাজও করছেন তারা। আজ (শুক্রবার) জেলা বিএনপির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৪টায় নগরীর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের হলরুমে। মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে তাদের এ জরুরি সভা।
এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সিলেট সফর ও সমাবেশ ঘিরে পুরোদমে চাঙা ভাবে দলের নেতাকর্মীরা। শত শত মামলায় আসামি হয়ে বিএনপির দিশেহারা হয়ে উঠা নেতাকর্মীদের জন্য এই সমাবেশ যেন এক মহাজাগরণ। ঘুরে দাঁড়ানোর মাইলফলক। সে কারণে উদ্যমী ও সাহসী হয়ে উঠেছেন সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে ২৩ অক্টোবরের সমাবেশ সফলের। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ২৩ অক্টোরের মহাসমাবেশে ঐতিহাসিক জনসমাগম ঘটবে সিলেটে। সেই ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসবে। রাজনীতিক অধিকার আদায়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যে করেই হোক সমাবেশ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।