পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমদানি-রফতানি পণ্য ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য বাংলাদেশকে কলকাতা ও হলদিয়া সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। সে দেশের শুল্ক কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে হলদিয়াকে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে ব্যবহারের প্রয়োজনীয় অনুমোদনও দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতি একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেখানে কেউ কেউ ওগুলো বলেছেন। সরকারি পর্যায়ের কোনো প্রস্তাবনা এটা নয়। তিনি বলেন, ভারতের যেকোনো প্রস্তাব গ্রহণ করার আগে ভালোমতো যাচাই-বাছাই ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঢাকায় মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে আবারো বন্দর দুটি ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশ এখনো হলদিয়া অথবা কলকাতা বন্দর ব্যবহারের কোনো প্রস্তাব অনুমোদন করেনি। দুটি বন্দরেরই ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ক্যালকাটা পোর্ট ট্রাস্ট (সিপিটি)।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশী পণ্য ট্রান্সশিপমেন্টে কলকাতার এ দুটি বন্দর ব্যবহার হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে নৌ-পরিবহনের ব্যয় কমবে। এতে করে ব্যয়বহুল সড়কপথে পণ্য পরিবহনের চাপ ও নির্ভরতা কমবে। এর ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের জন্যও চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট এড়িয়ে ইউরোপীয় ও মার্কিন বাজারে পণ্য পৌঁছার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে। চার বছরে দুই দেশের বাণিজ্য ৩৮ শতাংশ বেড়ে ৯১০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। বছরওয়ারি হিসাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২৪ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এপ্রিল-জুলাই সময়কালে এ বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ২২ শতাংশ।
এতে বলা হয়, বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে নৌপথে পণ্য পরিবহনও বাড়ছে। ভারতীয় অর্থবছরের (চলতি) প্রথম ছয় মাসে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) হলদিয়া বন্দরে হ্যান্ডলিং হয়েছে দ্বিদেশীয় বাণিজ্যের প্রায় চার হাজার কনটেইনার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পুরো সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৭০০ কনটেইনার। বাংলাদেশ-ভারত নৌপথে পণ্য পরিবহন বাড়লেও সমস্যা রয়েছে অন্য জায়গায়।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ভারসাম্য ভারতের দিকে অত্যধিক ঝুঁকে থাকায় নৌযানগুলো ফিরতি পথে বাংলাদেশ থেকে অতিসামান্য পণ্য নিতে পারে। এতে করে কার্গো জাহাজের সক্ষমতা-ব্যবহারের (ক্যাপাসিটি ইউটিলাইজেশন) হার থাকে খুব কম। এ কারণেই ঢাকার কাছের পানগাঁও টার্মিনাল ও কলকাতার মধ্যে কার্গোবাহী জাহাজের মাশুল (ফ্রেইট রেট) থাকে চড়া, প্রতি টনে ১৩ ডলার।
কলকাতার শিপিং এজেন্ট বি ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানির এমডি শারদ ভার্মার মতে, ফিরতি পথে জাহাজগুলো পণ্য পেলে টনপ্রতি মাশুল অন্তত ৪ ডলার কমবে। এতে করে বাংলাদেশ-ভারত দুপক্ষই পরস্পরের বাজারে তুলনামূলক কম খরচে প্রবেশ করতে পারবে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।