পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ২০০ কোটি (দুই বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়ে গেছে। দেশের রফতানি যে হারে বাড়ছে আমদানি তার চেয়ে বেশি হারে বাড়তে থাকায় বাণিজ্য ঘাটতির আকার বড় হচ্ছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। গত বছর ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৭৭ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে তা ২১১ কোটি (২ দশমিক ১১ বিলিয়ন) ডলারে উন্নীত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, রফতানির চেয়ে আমদানি বেশি হওয়ায় ক্রমাগতভাবে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। আগামীতে যদি রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় অথবা আমদানি কমে, তাহলে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণও কমে আসবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ৮৮২ কোটি (৮ দশমিক ৮২ বিলিয়ন) ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে আমদানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অন্যদিকে গত জুলাই-আগস্ট মাসে ৬৭২ কোটি ডলার মূল্যে পণ্য রফতানি হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি।
বেশ কয়েকটি কারণে দেশে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। সরকারের নেয়া মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে নানান পন্য আমদানি করতে হচ্ছে। এছাড়া নতুন করে এলএনজি গ্যাস আমদানি শুরু হয়েছে। এসব কারণে আমদানির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। অন্যদিকে কোরবানি ঈদের ছুটিসহ নানা কারণে আগস্ট মাসে কাঙ্খিত পরিমাণ রফতানি হয়নি। রফতানি আয় ও আমদানি ব্যয়ের এই বিপরীতমুখী ধারার কারণে ঘাটতির আকার বেড়েছে। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, নির্বাচন সামনে রেখে আমদানির ছদ্মাবরণে অর্থ পাচার বাড়ছে। বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধিতে এ বিষয়টি বড় ভূমিকা রাখছে। এদিকে সেপ্টেম্বর মাসে দেশের রফতানি বাণিজ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তাই সেপ্টেম্বরে বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমে আসার কথা সূত্র জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।