পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌকা থেকে নেমে ধানের শীষে হাল ধরেছে কালাম হোসেন গংরা। এই জগাখিচুড়ীর ঐক্য দিয়ে বিএনপির তরী পার হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গতকাল পদ্মা সেতু পরিদর্শণ শেষে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কামাল হোসেনকে সাবাশ জানাই, কারণ তিনি আমাদের দল ছেড়ে নৌকা থেকে নেমে ধানের শীষের মুঠো ধরেছে। যে ধানের শীষে শীষ নেই, আছে শুধু চিটা। যাদের সাথে তিনি হাত মিলিয়েছে, তারা খুনিদের রাজত্ব কায়েদ করেছিল।। অবশ্য কালাম হোসেন এটা করতেই পারেন। কারণ তিনি কালো টাকা সাদা করতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রী জনসভায় বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, ‘তারেক জিয়া, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া কালো টাকা সাদা করার কারখানা তৈরি করেছেন। বিষয়টি ‘রতনে রতন চিনে, শিয়ালে চিনে কচু’। এই কারণেই তাদের সাথে কামাল হোসেন গংরা হাত মিলিয়েছে। তাদের সাথে ন্যায়ের ঐক্য হতে পারে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা অংশে এসে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করে। এসময় তিনি পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-টুতে দুপুরের নামাজ ও খাবার খান। বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কাঠাঁলবাড়ি ফেরি ঘাট এলাকায় আয়োজিত জনসভায় আসেন। পরে তিনি ৪টা ৫ মিনিটে থেকে টানা ৩২ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের অধিকাংশ সময় তিনি বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যের নেতাদের সমালোচনা করেন। এসময় তিনি আওয়ামীলীগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, ‘এদেশে কোন ঘর অন্ধকার থাকবে না। সব ঘরে আলো পৌছে দেয়া হবে। যেটা কেউ করতে পারে না, সেটা আওয়ামীলীগ করতে পারে। আমরা এদেশকে শিল্প উন্নয়ন দেশ করতে চাচ্ছি। কৃষি খাতকে একটি আধুনিক ও যুগোপযুগি ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে যেতে চাই। এজন্যে কৃষি খাতে কৃষি উপকরণসহ নানা রকমের ভুর্তকি দিয়ে যাচ্ছি। এখন কৃষক দশ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খুলে সুবিধা নিতে পারছে। আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে পারছে। যা এই আওয়ামীলীগ সরকার করছে।’
প্রধানমন্ত্রী আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বলেন, ‘আপনারা বার বার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের ক্ষমতায় এনেছেন। আমরা সেই ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেছি। এই নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ায় এদেশের মানুষ মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, স্বাধীনতা পেয়েছে। এখন উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি এসেছে। তাই আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।’
প্রধানমন্ত্রী এরআগে সাড়ে ১২টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে গিয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি পরিদর্শন, মূল নদী শাসন কাজ সংলগ্ন স্থায়ী নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নামফলক উন্মোচন এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা ১ হাজার ৩৯০ মিটার ছয় লেন সড়কের কাজের উদ্বোধন করেন। পরে বিকেলে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন। শিবচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে স্থানীয় ও জাতীয় আওয়ামীলীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন। জনসভায় প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে।
দেখা যায়, সকাল ৮টার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ আসতে শুরু করেন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ২টা পর্যন্ত স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। এসময় সভা পরিচালনা করেন শিবচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য জেলা আওয়াশীলীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, বর্তমানের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।
দুপুর ২টার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়। আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের পরিচালনায় জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদের উপ-নেতা সাজেদা চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুরে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সার্বিক পরিচালনা ও সমন্বয়ক ছিলেন মাদারীপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। অনুষ্ঠানে মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুরের লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়। এসময় আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনি করে রাখা হয়।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ৭ নং খুটিতে পাইল স্থাপনের কাজ শুরুর মদ্য দিয়ে মুল সেতুর কাজের উদ্ধোধন করেছেলেন। পদ্মা সেতুর ৪২টি খুটিতে ৪১টিতে স্প্যান বসবে। এর মধ্যে ১৪ টি খুটি বসানোর কাজ শেষ হযেছে। আর পদ্মা নদীতে ১৮০টি পাইল স্থাপন করা হয়েছে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।