Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এত ডাক্তার নিয়োগ দিচ্ছি উপজেলায় পাই না

উপজেলায় ১০ ডাক্তার থাকার কথা পাওয়া যায় চার-পাঁচজন গণভবনে চিকিৎসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, এত ডাক্তার নিয়োগ দিচ্ছি, ডাক্তারদের জন্য সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি, তারপরও উপজেলায় ডাক্তার পাই না। তারা উপজেলার হাসপাতালে থাকতে চান না। যে উপজেলায় ১০ জন ডাক্তার
থাকার কথা সেখানে ডাক্তার পাওয়া যায় চার-পাঁচজন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। রোববার বিকেলে গণভবনে বাংলাদেশ মেডিকেল সম্মেলন-২০১৮ ও বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের সেবা করা আপনাদের সর্বপ্রথম কর্তব্য। মানুষের সেবার মতো মহৎ কাজ আর হতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। আমরাই প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করি। এ ছাড়া আরও তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। আবার যদি ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে প্রতিটি বিভাগেই একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে চিকিৎসাসেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। উপজেলায় যেসব হাসপাতালে ৩০ বেড ছিল সেগুলো ৫০ থেকে ১০০ বেডে উন্নীত করা হয়েছে। আগে ডিপ্লোমা পাস করে নার্স আসতো এখন গ্র্যাজুয়েট নার্স আসছে। নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়েছি। এ ছাড়া প্রাইভেট হাসপাতাল ও মেডিকেল কলজেগুলো যাতে ভালোভাবে চলতে পারে, এ কারণে মেডিকেল ইক্যুইপম্যান্ট ও যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন করে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যসেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছিল। গ্রামের অসহায় নারী ও শিশুরা এসব ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা পেয়েছেন। বিনা পয়সায় চিকিৎসা ও ওষুধ নিয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে এসব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা আবার বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করি। এখনো প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে। মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন সময় আপনারা কিছু দাবি দাওয়া করলেন, যখন বেলা শেষ। এই সময় আপনাদের দাবি বিবেচনার সময় নেই। কারণ, আমাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে। সামনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনাদের দাবি আমি রেখে দিলাম। যদি আবার ক্ষমতায় আসি আপনাদের দাবি মেনে নেবো।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় পায়রা উড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক ও বিএমএ মহাসচিব ডা. মো. এহতেশামুল চৌধুরী।#



 

Show all comments
  • Afaj ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১:৩৫ এএম says : 0
    Yes dr. Ra sebar name kore bebosa.,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
    Total Reply(0) Reply
  • দোলন ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১:৪৪ এএম says : 0
    প্রতিটি প্রমোশনের জন্য ৩ থেকে ৫ বছর করে উপজেলায় যেতে হবে
    Total Reply(1) Reply
  • নাবিলা ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১:৪৫ এএম says : 0
    ডাক্তারদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আরও কঠোর হতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • সুলতান ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১:৪৫ এএম says : 0
    এই বিষয়ে কথা বলায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • রুবেল ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১:৪৬ এএম says : 0
    আপনি সরকার প্রধান আপনি চাইলে এর সমাধান করতে পারেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Shyfur Rahman ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১:৫৯ পিএম says : 0
    ১০০% সত্য। সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্রেকটিস বন্ধ করা হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ