Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারো মুখাপেক্ষী হয়ে রাজনীতি নয়

গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

‘আওয়ামী লীগ কারো মুখাপেক্ষী হয়ে রাজনীতি করে না’ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নেই। ‘কারো সমর্থন নিয়ে আমাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে কি-না’ যদি এমন প্রশ্ন করেন তাহলে বলবো, আমার ক্ষমতায় না থাকাই ভালো। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রথম আমরাই একজন মাইনরিটি থেকে প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিলাম। তিনি সেই পদটি ধরে রাখতে পারেননি। বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রের উর্বর ভূমি মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। আমাদের উদ্বেগ কে দেখবে? মাদরাসা শিক্ষার মাধ্যমেই উপমহাদেশে মুসলমানদের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং নির্বাচনে আসা না আসা রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় সিদ্ধান্ত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশন থেকে ফিরে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সফলতা দেশবাসীকে জানাতে গতকাল গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
বই লিখে বিতর্কের ঝড় তোলা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে আলাপকালে শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন না দিতে ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। ভারতে গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও এ বিষয়ে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মতামত জানতে চাওয়া হলে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারো মুখাপেক্ষী হয়ে তো রাজনীতি করি না। ভারতে গিয়ে তিনি নাকি অনুরোধ করেছেন আমাকে সমর্থন না দিতে। আমার শক্তি হচ্ছে আমার দেশের জনগণ। জনগণ আমাকে চায় কি-না সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ১০ বছরের শাসনামলে দেশের ৬৪ ভাগ মানুষ সন্তুষ্ট। আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানর গবেষণা করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাহলে অসন্তুষ্ট কারা? অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে কেউ আমাকে কোনো পরামর্শ দেয়নি। বরং যাদের সাথে কথা বলেছি, তারাই আমাকে ‘উইশ’ করেছে যেন আমি আবার ক্ষমতায় আসি।
কি অন্যায় করেছি সরকার উৎখাত করতে হবে ?
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রের উর্বর ভূমি। দেশে সুন্দর পরিবেশ থাকা সত্বেও কেন আমাদের পদত্যাগ করতে হবে? কিছু লোক আছে দেশের উন্নতি হয়, জনগণ ভালো থাকুক অনেকের পছন্দ হয় না। অনেকের ভোটে যাবার ক্ষমতা নেই কিন্তু তারা পতাকা চায়। তাদের চাওয়া কেউ আসুক; এতে করে তারা মন্ত্রি হয়ে পতাকা পাবেন। তাদের খায়েসের খেসারত জনগণ তো কম দেয়নি। ঊনিশ বার ক্যু হয়েছে। তিনি বলেন, আমার আকাঙ্খা ছিল পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা। কারণ ৯৬’তে ক্ষমতায় এসে যা উন্নয়ন করেছি তা ২০০১ এ সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে; যার ফলে উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়নি। কিন্তু এবার দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় তা হয়েছে। কিন্তু ১০ বছরে ক্ষমতায় থেকে আমরা অন্যায়টা কি করেছি? যে আমাদের পদত্যাগ করতে হবে। সরকারকে ফেলে দিতে হবে।
রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নতুন নতুন রাজনৈতিক জোট হচ্ছে এতে আমি খুশী। প্রয়োজনে সহযোগিতা লাগবে করবো। তাই ঐক্য নিয়ে কোনো ভয় নেই, এটা নির্বাচনের জন্য ভালো। জনগণ ভোট দিলে আবারও ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
উপমহাদেশে শিক্ষার যাত্রা শুরু মাদরাসায়
হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে সম্পর্ক ও কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন, এই অঞ্চলে উপমহাদেশে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় মাদরাসা দিয়ে। হিন্দু ধর্মে টং থেকে। কাজেই এটাকে একবারে বাদ দেয়া যাবে না। কারণ ১৪ থেকে ১৫ লাখ ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া শিখছে। তাদের জন্য ভবিষ্যৎ ঠিকানা করে দিয়েছি। কওমি মাদরাসার ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ ছিল না। তারা কি করতো কোথায় যেত কোন ঠিকানা ছিল না। আমি তাদের জন্য ভবিষ্যৎ ঠিকানা করে দিয়েছি। হেফাজত শত্রু থেকে বন্ধু এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কোন শত্রু ছিল না। তবে হ্যাঁ ওই হেফাজতের ঘটনার রাতের আগে খালেদা জিয়া সবাইকে আহ্বান জানালো আপনারা সবাই ঢাকা চলে আসেন। আমার মতো চেষ্টা করেছি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য। ওই রকম পরিস্থিতি যেন বাংলাদেশে না ঘটে। খালেদা জিয়া তাকে ওপেন সমর্থন দিয়েছিলেন, জামায়াত আল্লামা শফিকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ওই রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বরসহ মানুষ যে টেনশনে ছিল তাদেরকে তো টেনশনমুক্ত করেছি। এজন্য আমিতো ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। সে সময় অনেকে বলেছে আমি তো ধর্মেই বিশ্বাস করি না। এ রকম একটা ভাবনা অনেকের মধ্যে ছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও অপরাধী মন না থাকলে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। সম্প্রতি পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের আপত্তির বিষয়ে এক সাংবাদিকের পক্ষ থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে কেন এতো কথা হচ্ছে আমি বুঝি না। কারও মন যদি অপরাধী না হয়, তার তো তার উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। যার মন অপরাধী, তারা ভয় পাবে। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের’ যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় আমার বিরুদ্ধে কতো মিথ্যা খবর লেখা হলো। পদ্মাসেতু নিয়ে এতো মিথ্যা নিউজ হলো। যার বিরুদ্ধে লেখা হলো, সেটা যদি পরে মিথ্যা হয়, তখন যার বিরুদ্ধে লেখা হলো, তার তো যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে যায়। কিন্তু যারা লেখে তারা তো বহাল তবিয়তে থেকে যায়। তার কিছুই হয় না। যারা মিথ্যা সংবাদ লিখবে, সেটা প্রমাণ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শাস্তি পেতে হবে।
আমাদের উদ্বেগ কে দেখবে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকরা নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ জানালেও অনলাইনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মানসম্মানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারেরও উদ্বেগ রয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনো একজন সংসদ সদস্য হলেন। যদি এলাকায় তার অসম্মান হয়, সেটার কী হবে। সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন বুঝলাম, কিন্তু আমাদের উদ্বেগটা কে দেখবে? বিবিসি একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছিল। তা প্রমাণ হওয়ার পর সবাইকে রিজাইন করতে হয়েছে। কিন্তু যার বিরুদ্ধে ওই সংবাদ প্রকাশ করা হলো, তিনি তো ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই গেলেন। কিন্তু যে প্রকাশ করল, তার তো কিছু হলো না। তার যে সম্মানটা গেল, ক্ষতি হলো, তার ক্ষতিপূরণ হবে কিভাবে? পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকের অনেক কথা মিথ্যা প্রমাণিত হলো। কিন্তু আমাদের যে ক্ষতিটা হলো, তার কী হবে? কারও যদি অপরাধী মন না থাকে, ভবিষ্যতে অপরাধের পরিকল্পনা না থাকে, তার উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই। আগে তো সমন জারি করা হতো না, সরাসরি গ্রেফতার করা হতো। তিনি বলেন, মিটিং-টিটিংয়ে যেসব মানুষদের দেখলাম, তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ারই কথা। তারা তো ফাইল নিয়ে রেডি হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে লিখবেন, সরকার এই করেনি, ওই করেনি। আপনাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই। অন্তত আমি থাকতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই।
নোংরামি বন্ধেই সাইবার সিকিউরিটি আইন
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন দাসের ফেসবুক পোস্টে একটি ছবির কটূক্তি করার মতো অনলাইনে নোংরামি বন্ধ করতেই সাইবার সিকিউরিটি (ডিজিটাল নিরাপত্তা) আইন করা হয়েছে। ছেলেটা (লিটন দাস) যেভাবে খেলেছে খুবই চমৎকার। তার আউটটি ছিল আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তাকেও একটি পোস্টের জন্য গালিগালাজ করা হয়েছে। এগুলো মোকাবেলায় সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে। সমগ্র বিশ্বে এ ধরণের সাইবার হামলা সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। যারা এ ধরণের মন্তব্য করেছে তারা বিকৃতমনা। তাদের রুখতে সমাজের সবাইকে বিশেষ করে সাংবাদিকদেরকেও ভূমিকা রাখতে হবে।
নির্বাচনের ব্যাপারে কেউ পরামর্শ দেয়নি
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলাপের বিষয়ে বলেন, অধিবেশনে এবং অধিবেশনের ফাঁকে বিশ্বের অনেক নেতার সঙ্গেই কথা হয়েছে, বৈঠক হয়েছে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। কেউ কোন পরামর্শ দেয়নি। নির্বাচন নিয়ে কী হবে, সেটা নিয়ে কথা হয়নি। তবে তারা আকাঙ্খা করেছেন যেন আবারও আমরা নির্বাচিত হই। পরের বারের জাতিসংঘের অধিবেশনেও দেখা হয়। তবে জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই।
নির্বাচনে আসা না আসা দলীয় সিদ্ধান্ত
‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে কতটা আশাবাদী’ এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। কোন দল নির্বাচনে আসবে কে আসবে না এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এতে আমাদের কিছু করার নেই। দেশে কয়েক বছরে ৬ হাজারেরও বেশি নির্বাচন হয়েছে। কোনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমি তাদের (বিএনপি) নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাই। তৎকালীন বিরোধী দল আমার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। বাকিদের নিয়ে নির্বাচন করেছি। কিন্তু নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর কাজ করেছে। তারা ৩ হাজার ৯শ মানুষ পুড়িয়েছে। যারা মানুষকে মানুষ মনে করে না তাদের জন্য মায়াকান্না কেন? যারা আগুনে পুড়েছে তাদের কখনো খোঁজ নিয়েছেন? যারা আগুনে পুড়ে কর্মক্ষমতা হারিয়েছে তাদের পরিবার কীভাবে চলছে খোঁজ নিয়েছেন? যারা মানুষ পোড়ানোর খেলা খেলে তাদের জন্য এত মায়াকান্না কেন? যারা সামান্য এতিমের টাকার লোভ সামলাতে পারে না তাদের জন্য এত কান্না কেন? এরা কীভাবে স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় আসার? কীভাবে দেশ চালাবে তারা?
সিনহার দুর্নীতির বিচার
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এস কে সিনহার দুর্নীতির বিচার আইনের নিজস্ব গতিতে চলবে। ‘ল উইল টেক ইটস ওউন কোর্স’। আর কিছু বললে তো বলবেন, বেশি বলি। আবার না বললে বলবেন কম বলি। ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে সিনহাকে আমরা প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি নিজের পদের সম্মান ধরে রাখতে পারেননি।
২০০৮ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলেন। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে কি থাকছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার আগামী ৮১ বছরের ডেল্টা প্ল্যান করেছি। ২১০০ সালে অর্থাৎ আগামী শতাব্দীতে বাংলাদেশ কেমন হবে সেই পরিকল্পনা করে ফেলেছি।
রোহিঙ্গা সংকট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। আমি সেখানে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার বিষয়ে কথা হয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টির কথা বলেছি। ওআইসির নেতাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে থাকার জন্য তাদের আমি বলেছি। তারা রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হল মিয়ানমার কথা দিয়ে কথা রাখে না। রোহিঙ্গা ফেরতের বিষয়ে বলা হলে তারা বলে প্রস্তুত আছি কিন্তু পাঠাতে গেলে নেয় না।



 

Show all comments
  • কাজল ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ২:৫৫ এএম says : 2
    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন
    Total Reply(0) Reply
  • বৃষ্টি ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ২:৫৬ এএম says : 0
    কারো মুখাপেক্ষী হয়ে রাজনীতি করার চেয়ে না করাই ভালো
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৮:১৯ এএম says : 0
    ইসলাম শান্তি,ইসলাম মুক্তি ইসলামই আসল রাজনীতি।
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৯:২০ এএম says : 0
    Shotto kotha,jonogoner mokhapekkhi rajniti kora ochit varoter noy.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ