পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নীতিগতভাবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইনের খসড়ার ব্যাপারে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারকদের মতামত চাওয়া হয়েছিল, তবে তারা মতামত দেননি, তাই আবারো তাদের মতামত চাওয়া হবে। এ আইনের খসড়ায় বিচারপতিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগকারীর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি নীতিগত অনুমোদনের পর নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, গত ২ মার্চ আমি নিজে আইনের খসড়াটি প্রধান বিচারপতির কাছে দিয়ে আসি। এরপর অফিসেও পাঠানো হয়েছে। তারা মতামত দেননি। তবে মতামত দেয়ার সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তাদের মতামত অবশ্যই নেয়া হবে। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা আইনের খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দেয়া মানে এই না, ওনারা (বিচারপতি) কোনো পরিবর্তন চাইলে তা হবে না। যুক্তিসঙ্গত পরামর্শে পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। যেহেতু তাদের ব্যাপার, তারাই একমাত্র স্টেকহোল্ডার, তারা (বিচারপতিরা) প্রকাশ্যে এটা নিয়ে কথা বলতে পারেন না। সেহেতু আমি মনে করি, তাদের অভিমত নেয়াটা আবশ্যক।
আইনমন্ত্রী বলেন, ওখান থেকে কোনো মতামত না আসায় একটা রিমাইন্ডার দিয়েছিলাম। তার জবাবে তারা বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। যেহেতু এ মামলা এখনো চলছে এবং আগামী ৫ মে রায় হবে, সেহেতু এ আইনের ব্যাপারে আমরা অভিমত দিতে পারি না। সেটাকে সম্মান করি।’ মন্ত্রিসভা থেকে এ আইনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ মন্ত্রিসভার অংশ শেষ হলো। তবে বিচারকদের অভিমত নেয়ার যে সুযোগ ছিল, তা এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের আইন অনেকদিন আগে করা উচিত ছিল। করা হয়নি। এর ফলশ্রুতিতে আমাদের ১৯৭২ সালের সংবিধানে যখন ৯৬ অনুচ্ছেদ ছিল, ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের কোনো বিচারপতিকে অপসারণ করা হয় নাই। কিন্তু ১৯৭৬ সালের পর থেকে অন্ততপক্ষে ৮-৯ জন বিচারপতিকে অপসারণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিচারপতি কেএম সোবহান, বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি এসএম হোসেনÑএ তিনজনকে বলা হল, ‘আজ থেকে আপনারা তিনজন বিচারপতি নন। হয় পদত্যাগ করুন, নইলে চাকরি খাব।’ এ হুমকি তাদের দেয়া হয়েছিল। আবার বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। সকালে তার এজলাসে মামলা চলছে। রেজিস্ট্রার সাহেব আইনজীবীরা যেখানে দাঁড়ান, সেখানে। তাকে একটা ফোন করা হল কোথা থেকেÑ প্রধান বিচারপতিকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আজকের পত্রিকা তিনি পড়েছেন কি-না। যদি পড়ে থাকেন, উনি কি আছেন। তখন রেজিস্ট্রার প্রধান বিচারপতিকে গিয়ে বললেন, আপনি আজকে একটু এডজর্ন করুন। তিনি বুঝতে পেরেছেন। কারণ, রেজিস্ট্রার এসে জিজ্ঞাসা করছেন। এরপর কোর্ট এডজর্ন করে তার খাস কামরায় যান, তাকে পত্রিকাটা দেয়া হয়। মার্শাল ল’র আজকে যে আইনটা করা হয়েছে, এটা পড়ে আপনি একটু দেখুন, আপনি আছেন কি-না। সেটা পড়ে দেখা গেল তিনি নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য আমার, আমার বাবা তখন সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তাকে খবর দিয়ে দ্রুত অ্যারেঞ্জমেন্ট করে প্রধান বিচারপতিকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হল। এটা হচ্ছে, কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অসম্মান করে বিদায় করা। এটা হচ্ছে, দি হাইট অব আর্বিট্রেইনেস। তিনি বলেন, আমরা মনে করলাম, বিচারপতিদের অসম্মান করতে আর দেয়া যেতে পারে না। তাদের অধিকার সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। তাদের সম্মান দেয়া আমাদের দায়িত্ব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।