পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা যে বই লিখেছেন, সেজন্য তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা নিজাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার ল ফার্ম কাজ শুরু করেছে। সময় হলেই বিস্তারিত জানাব।”
নিজাম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, ওই ল ফার্মের আইনজীবীরা মামলার প্রেক্ষাপট যাচাই এবং ক্ষতিপূরণের অংক ঠিক করার জন্য আলোচনা শুরু করেছেন। সব প্রস্তুতি শেষ হলেই ফেডারেল কোর্টে আবেদন করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে আইন পেশায় থাকা অশোক কর্মকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে মামলা করতে পারেন। এতে কোনো বাধা নেই। তবে মামলার আবেদনের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ থাকতে হবে। তাহলেই প্রতিকার পাওয়া যাবে।”
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এর এক বছরের মাথায় তিনি বিদেশে বসে ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন যা নিয়ে বাংলাদেশের মত প্রবাসে বাংলাদেশিদের মধেও আলোচনা চলছে।
বইতে সিনহা লিখেছেন, “২০১৭ সালে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে ঐতিহাসিক এক রায় দেওয়ার পর বর্তমান সরকার আমাকে পদত্যাগ করতে এবং নির্বাসনে যেতে বাধ্য করে।”
শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ৬১০ পৃষ্ঠার ওই আত্মজীবনীমূলক বইটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে প্যাটারসন সিটিতে বসবাসরত এস কে সিনহার সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার আত্মীয়দের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশভিত্তিক কোনো মিডিয়ার সঙ্গে তিনি কথা বলতে চান না।
এদিকে নিউ জার্সিতে যে বাড়িতে তিনি থাকছেন, তার মালিকানা তার ভাইয়ের নামে হলেও অর্থের উৎস নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে বিভিন্ন খবর এসেছে। এ বিষয়েও কোনো মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চাননি বিচারপতি সিনহা।
তার লেখা বইটি এখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে হাতে। অনেকেই ওয়েবসাইট থেকে সেটি প্রিন্ট করেছেন।যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, নিউ ইয়র্কের জামায়াতপন্থি মিডিয়া এস কে সিনহার বইয়ের প্রচারের জন্য কাজ করছে।
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিনহার বই নিয়ে কথা বলেন।
শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা একটু খুঁজে বের করেন না, বইটা লেখার পেছনে কার হাত আছে? এই বইটার পাণ্ডুলিপি কতবার বাংলাদেশে গেছে? কার কাছে গেছে বা তিনি যে লঞ্চটা করবেন; এই লঞ্চিংয়ের টাকা-পয়সা খরচটা কে দিচ্ছে?
“বাংলাদেশ থেকে কেউ দিচ্ছে কিনা বা আপনাদের মতো কোনো সাংবাদিকরা এর পেছনে আছে কিনা? কোনো সংবাদপত্র আছে কিনা বা তারা কতটুকু সাহায্যপত্র দিচ্ছে? আমাদের কোনো আইনজীবী এর স্ক্রিপ্ট দেখে দিচ্ছে কিনা? কোন পত্রিকা বা পত্রিকার মালিকরা তাকে এই মদদটা দিচ্ছে? স্ক্রিপ্টটা লেখার ব্যাপারে কোনো সাংবাদিক, কোন পত্রিকার, কে এটা সাহায্য করছে?”
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী বাংলাদেশি এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, সাবেক এই প্রধান বিচারপতির নিউ জার্সিতে বাড়ি রয়েছে। সে বিষয়ে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অ্যামেরিকায় বাড়ি কেনা তো খুব একটা কঠিন ব্যাপার না। বরং বাংলাদেশেই এখন কঠিন। বাংলাদেশই দাম বেশি। এখানে তো একটা ডিপোজিট দিলেই বাড়ির মালিক হওয়া যায়। কে কীভাবে কিনলো; সেটা খুঁজে বের করে তথ্য দেন, সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।