পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পের সঙ্গে বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকুক এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিয়ইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। এর আগে শুক্রবারই শেখ হাসিনার সঙ্গে নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাত করেছেন।
এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে এবং রোহিঙ্গা ইস্যু ও নির্বাচন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। একনেক ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প অনুমোদন করেছে এবং আমরা তা ব্যবহার করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকুক এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার লেখা বই, নির্বাচনকালীন সরকার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার আত্মজীবনী প্রকাশের পেছনে কারা রয়েছে তা খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তিনি এ ব্যাপারে জানেন। তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে জানি, কিন্তু আমি আপনাদের বলবো না। এই বইয়ের পান্ডুলিপি কতবার বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে আনা হয় তা সাংবাদিকদের খুঁজে বের করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের সময় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করা হতে পারে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিরোধী দলীয় নেত্রীর (রওশন এরশাদ) সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি। তারা যদি চান আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সকল রাজনৈতিক দল যদি চায় তাহলে আমরা তাদের প্রতিনিধি নিয়ে সরকার গঠন করতে পারি। তারা ক্ষমতাসীন অথবা বিরোধী দল কিনা সেটা কোন বিষয় না। তবে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে এখানে কোন সংজ্ঞা নেই।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধ এখন একটি আলোচ্য বিষয়। সকল দেশ এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমরা সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে এই আইন প্রণয়ন করেছি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পর সাইবার অপরাধ এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাংবাদিকদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সবসময় আইনের শুধু একদিক দেখেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই এ ব্যাপারে সংকিত। কারণ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কার্যক্রমকে সাইবারের মাধ্যমে উস্কে দেয়া হয়। শিশু থেকে তরুণ পর্যন্ত সবাই যখন ভুল পথে চলে যাচ্ছে অথবা মানসিক ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলছে, তখন বিভিন্ন সামাজিক ও ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য কিনা প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, যদি কোন সাংবাদিক সুষ্ঠু সাংবাদিকতার চর্চা করেন তাহলে তিনি কেন শংকিত হবেন? #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।