পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনবল এবং সমন্বয়ের অভাবে ধুকছে দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ। এগুলো হচ্ছে- একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও আয় বৃদ্ধি। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয় হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে গণযোগাযোগ অধিদফতর।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই মাস রয়েছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগের সাফল্য প্রচারে একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। যা সমন্বয় করছে প্রধানমন্ত্রীর কাযালয়। সম্পতি এ গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রকল্প গুলোর অগ্রগতি নিয়ে সকল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ইতিমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং ২০২১ সাল নাগাদ মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রাসহ ২০৪১ সালের উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও বেশ কিছু ক্ষেত্রে আর্থসামাজিক সমস্যা রয়েছে, যেগুলো অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বিশেষ উদ্যোগ দরিদ্র মানুষের মধ্যে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যা দরিদ্র মানুষেরা স্থায়ীভাবে আয়বর্ধক কাজে বিনিয়োগ করে দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারেন। দেশের ৩৬ লাখ দরিদ্র মানুষ সঞ্চয় জমা করেছেন ১৩৩০ কোটি টাকা। সরকার হতে এর বিপরীতে অনুদান দেয়া হয়েছে ১১২৩ কোটি টাকা। আর ৩৬ লাখ সদস্য নিয়ে গড়া প্রায় ৭৫ হাজার গ্রাম সমিতিকে অনুদান দেয়া হয়েছে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা। আগামী দুই বছরে আরো প্রায় ২৫ লক্ষ দরিদ্র মানুষকে এ প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশব্যাপী প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস্তবায়িত এ বিশেষ উদ্যোগটি বর্তমানে জনবলের অভাবে ধুকে ধুকে চলছে।
তাছাড়া এ কাজ সুষ্ঠু বাস্তবায়ন কোন ভাবেই সম্ভব না। প্রকল্পের প্রথম ও ২য় পর্যায়ে (২০০৯-২০১৬ মেয়াদে) গঠিত ৪০২১৬টি গ্রাম উন্নয়ন সমিতির ২২ লাখ সদস্যদের কাজ তদারকির জন্য ২০১৪ সালে ৪৫০৩জন মাঠ সহকারী নিয়োগ দেয়া হয় প্রতি ইউনিয়নে ১জন করে। এ সকল সমিতি, সদস্য এবং তার তহবিল পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তর করে দেয়া হয়েছে। ২০১৭-২০২০ মেয়াদে আরো ৬০ হাজার সমিতি গঠন এবং ৩৬ লাখ সদস্য অন্তর্ভূক্তির কাজ চলছে। অথচ প্রথম ও ২য় পর্যায়ে গঠিত সমিতির কাজ দেখার জন্য ৪৫০৩ জন মাঠ সহকারীর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছে মাত্র ৩৮৪২ জন। যেখানে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলি প্রতি ৪০০ জন সদস্যের জন্য ১ জন করে কর্মী নিয়োগ করে থাকে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর এ বিশেষ উদ্যোগের কাজ তদারকির জন্য ১জন কর্মীর ঘাড়ে এখন গড়ে ১ হাজার জন সদস্যের কাজ তদারকি করতে হচ্ছে এবং একই সাথে চলতি অর্থ বছরে আরো ২৫ লক্ষ সদস্য অন্তর্ভূক্তির কাজও তদারকি করতে হচ্ছে। যা একজন মাঠ কর্মীর পক্ষে সুষ্ঠুভাবে করা কোন ভাবেই সম্ভব না। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। প্রকল্প এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কাজে সৃষ্ট হয়েছে জগাখিচুড়ী অবস্থা। ২০১৬ সালে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানাস্তরিত অংশে খেলাপী ঋণের হার ছিল ৪৭% তা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ৭১%। এবং তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটা অতি সাভাবিক ঘটনা। নীবিড় তদারকি ছাড়া ঋণ খেলাপী কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক ইনকিলাবকে বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কাজ দেশে ব্যাপক ভাবে সারা জাগিয়েছে। এ প্রকল্পে অগ্রগতি অনেক ভাল। তবে জনবল দ্রুত নিয়োগ দেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক আকবর হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, এ প্রকল্পের অগ্রগতি অনেক ভাল। তবে বর্তমান কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সে কারণে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটা সমাধান করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।